বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চার বছর আগে বরিশালে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচন করেছিল তার ফেসবুক প্রেমিক সায়েম আলম মিমু। ওই ঘটনার দায়ে রবিবার দুপুরে প্রেমিক সায়েম আলম মিমুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ রবিবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট বরিশাল নগরীর চকবাজারের আবাসিক হোটেল ফেয়ার স্টারের ৩০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয় ঢাকার ওয়ারী এলাকার মো. সেলিম আলমের পুত্র সায়েম আলম মিমু এবং তার ফেসবুক প্রেমিকা বরিশাল নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডের বাসিন্দা নাঈমা ইব্রাহিম ইশি। পরে ওই কক্ষে ইশিকে ধর্ষণ করে মিমু। ধর্ষণের ঘটনায় হোটেল কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ইশি। এ সময় তার মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে সায়েম আলম পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ইশির বাবা ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে হোটেলের মালিক আব্দুল বিশ্বাস এবং ম্যানেজার মজিবুর রহমান আকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইশির ফেসবুক প্রেমিক সায়েম আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সুত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ প্রধান অভিযুক্ত প্রেমিক সায়েম আলম ও হোটেল ম্যানেজার মজিবুর রহমান আকনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করে পুলিশ।
ট্রাইব্যুনালে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে নিহত ইশিকে ধর্ষণের দায়ে রবিবার আসামি সায়েম আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
একই মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং চুরির কারণে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হোটেল ম্যানেজার মজিবুর রহমান আকনকে খালাস প্রদান করা হয়।
Leave a Reply