পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ বরিশালে সাবেক দুই ব্যাংক কর্মকর্তার ১৪ বছর জেল Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ বরিশালে সাবেক দুই ব্যাংক কর্মকর্তার ১৪ বছর জেল

পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ বরিশালে সাবেক দুই ব্যাংক কর্মকর্তার ১৪ বছর জেল




নিজস্ব প্রতিবেদক:  ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলায় ঢাকা ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার আসামি বরিশালের অপর তিন ব্যবসায়ীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন আইনে দায়ের করা মামলায় বরিশালের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক বৃহস্পতিবার বিকালে এই রায় দেন। দণ্ডিত দুই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কেএইচএন আসাদুজ্জামান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।মামলা দায়েরের পর থেকে এ দুই কর্মকর্তা পলাতক রয়েছে।

খালাস পাওয়া তিন ব্যবসায়ী হলেন-ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, সিটি করপোশেনের টানা চার বারের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল এবং ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন তালুকদার।

বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ জানান, ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার, জাল গ্যারান্টিপত্র, জাল অ্যাসেসমেন্ট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২২০ টাকা সমন্বয় করা হয়।

বাকি ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তা। দণ্ডিত ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখায় দায়িত্বপালনকালে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। পরে আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়লে ২০১৩ সালের ৬ আগস্ট ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মালেক হাওলাদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর মামলাটি তদন্ত করেন। দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তিন ঠিকদার যোগাসাজশ করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করেন। দুটি মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় দেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD