পিরোজপুরে যার চেম্বারে চিকিৎসা ছাড়া কেউ বাড়ি ফেরে না Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিশ্বাসী: বরিশালে ইসি হাবিব হিজলায় যৌথ অভিযানে আটক ১০ জেলে, জরিমানা গৃহবধূর স্যালোয়ারের মধ্যে ইয়াবা, অতঃপর … বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্য কোন দ্বন্দ্ব নেই: চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে বাংলাদেশের আরও অবনতি ৫২৭টি ভারতীয় খাদ্যপণ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের অস্তিত্ব মিলেছে: ইইউ মাদক মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ, আসামী খালাস কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা বৃষ্টির জন্য বরিশালে ইসতিসকার নামাজ আদায় সদর উপজেলার শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই : এসএম জাকির




পিরোজপুরে যার চেম্বারে চিকিৎসা ছাড়া কেউ বাড়ি ফেরে না

পিরোজপুরে যার চেম্বারে চিকিৎসা ছাড়া কেউ বাড়ি ফেরে না

পিরোজপুরে যার চেম্বারে চিকিৎসা ছাড়া কেউ বাড়ি ফেরে না




পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ ডা. তপন বসু ৩৫ বছর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে আসছেন পিরোজপুরবাসীকে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে জেলায় ভালো নাম ডাক রয়েছে তার।

 

 

তিনি একাধারে চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ আবার সমাজসেবকও। তার রোগীরা চেম্বারে আসলেই তিনি তাদের সঙ্গে পরিবারের মত আচরণ করেন। সবার সুখ দুঃখের কথা শুনেন। তিনি বহুবিধ রোগের চিকিৎসাও করেন। তার ওষুধের দামও ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। যা আপনি দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করতে গেলে হাজার থেকে লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

 

 

ডা. তপন বসু পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউপির ডা. নরেশ চন্দ্র বসুর সন্তান। হোমিওপ্যাথিক এ ডাক্তার ২০০৯ সালে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি চেয়ারম্যান থাকার সময় কোনো বেতন ভাতা নিতেন না। তার বেতন ভাতা দিয়ে হতো কোনো অসহায় এতিম মেয়ের বিয়ে অথবা গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ। মসজিদ-মন্দিরেও সাহায্য দিতেন নিয়মিত।

 

 

ডা. তপন বসুর হোমিও চেম্বারে ধনী-গরিব নির্বিশেষে লেগেই থাকে সব শ্রেণির ভিড়। তার চেম্বারটি সকাল ১০ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে তার কাছ থেকে চিকিৎসা পেতে হলে আগে সিরিয়ালে নাম লেখাতে হয়।

 

 

চেম্বারে আসা ছোট্ট শিশু নাজমার বাবা মো. ইলিয়াস মোল্লা বলেন, বাগেরহাট থেকে দাদার চেম্বারে এসেছি বাচ্চাকে দেখাতে। ওর এক সপ্তাহ ধরে ঠাণ্ডা, কাশি। আমার পুরো পরিবারই এখানে আসে অসুস্থ হলে। বলা যেতে পারে তিনিই আমাদের পারিবারিক ডাক্তার। এদিকে কদমতলা থেকে দাঁতের ব্যথা নিয়ে এসেছেন গিতা রানী দাস।

 

 

তিনি জানান, এই ডাক্তারের কাছে আসলে অল্প টাকার ওষুধেই ব্যথা ভালো হয়ে যায়। আগেও হয়েছে। যা অন্য কোথাও চেকআপ করালে হাজার হাজার টাকা খরচ হবে। তবে সমস্যা পুরোপুরি শেষ হয় না।

 

 

ডাক্তারের সহযোগী উজ্জল গুহ জানান, এই ডাক্তারের কাছে থেকে ফেরত যায় না কোনো রোগী। কারণ তিনি সব রোগীর কাছে ভালো ডাক্তার হিসেবে সুপরিচিত। তাই তো তার কাছে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে চিকিৎসা নিতে।

 

ডা. তপন বসু বলেন, বাবা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন মানুষের সেবা করতে। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা গ্রামের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতেন। তিনি সততার সঙ্গে জীবনযাপন করে ছিলেন। সেই লক্ষ্যে আমিও চেষ্টা করছি সাধারণ গরিব মেহনতী মানুষের জন্য কাজ বা সেবা দিতে। চেম্বারে আসলে কাউকে টাকার চিন্তা করতে হয় না। আমার কাছে চিকিৎসা আগে অর্থ নয়। জীবনে যতদিন বাঁচবো সেবাই আমার ধর্ম।

 

 

ডা. তপন বসুর চেম্বারে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। সমাজে এমন মানুষ আছে বলেই পৃথিবীতে আজো মানুষ মানুষের জন্যে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD