পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের




মেহেদী হাসান মুবিন,মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ এখন বর্ষাকাল। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষার সময় ছাতার ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে ছাতার কারিগরদের কর্মব্যস্ততাও বাড়ে।

 

 

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ছাতার কারিগররাও এর ব্যতিক্রম নয়। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় তাদের কদর, বেড়ে যায় ব্যস্ততা। তাই ক্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ভাসমান কারিগরদের কাছে ভিড় জমায় লোকজন।

 

 

বর্ষার কারণে মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগর। ত্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ওই কারিগরদের কাছে ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই বর্তমানে মৌসুমি ছাতার কারিগরদের কদর বেড়েছে। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় অন্য ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছে ছাতা কারিগররা।

 

 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগররা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাক্স নিয়ে রাস্তার পাশে, কেউ অন্যের বারান্দায় বসে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনভর হরেকরকমের ভাঙা ছাতা মেরামত করছে। আর কাজ বুঝে প্রতিটি ছাতা মেরামতের টাকা নিচ্ছে তারা। বৃষ্টির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাজের চাপও বেড়ে যায় তাদের। আর বৃষ্টির হাত থেকে স্বস্তি পেতে বর্ষার অকৃত্রিম বন্ধু ছাতাকে মেরামত করতে যেন ভুলছে না কেউ।

 

 

ছাতা কারিগর পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মোঃ হাবিব হাওলাদার জানান, তার বাবা আঃ ওয়াহেদ ক্বারি আগে এ পেশায় ছিলেন। বাবার হাত ধরেই তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের ছয় মাস তিনি এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। দৈনিক ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা আয় করেন তিনি। এবার করোনার কারণে কাজ একটু কম বলে জানান হাবিব।

 

 

আরেক ছাতা কারিগর মোঃ হারুন বলেন, আমি এ পেশায় ২০-২৫ বছর ধরে আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হতো। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগার কিছুটা কম হচ্ছে। বছরে ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি, বাকি ছয় মাস অন্য কাজ-কর্ম করে সংসার চালাই।

 

 

কথা হয় ছাতা মেরামত করতে আসা মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন এর সাথে। তিনি বলেন, তার একটি ছাতা বাড়িতে পড়ে ছিলো তাই মেরামত করতে এসেছেন। নতুন ছাতা কেনার চেয়ে অল্প টাকায় পুরোনোটাই মেরামত করা ভালো, এতে কিছুটা সাশ্রয় হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD