শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর ঘাটে যাত্রী ছাউনি থেকে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও ভিডিও করার ঘটনাটি ছিলো ভুয়া। নিজের পরকীয়া প্রেমিকের চড় থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে ওই মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা সাংবাদিকদের একথা জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ জুন মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ থানায় এই ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের একটি অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে নেমে দিনের বেলা গোপালপুর ঘাটের মত একটি জনসমাগম এলাকা হতে চার যুবক ওই গৃহবধূর মুখ বেঁধে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগটি অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয় পুলিশের কাছে। এরপর মূল রহস্য বেরিয়ে আসে।
তিনি জানান, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শাহীন মোল্লা (২৫) নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর শাহিন ও অন্যদের মোবাইল কললিস্ট যাচাই করা হয়। তাতে অভিযোগের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেছিলেন ঘটনার দিনে তার স্বামী লিটন ঢাকায় থেকে এসেছে। কিন্তু কললিস্ট চেক করে দেখা যায় লিটন ওইদিন তার গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন। পার্শ্ববর্তী সদরপুর থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলায় এই লিটন দুই মাস জেলে ছিলো। এই সুযোগে লিটনের মামাতো ভাই রাজু মণ্ডলের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পরে পরিবারের লোকেরা জেনে যায়।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ জানান যে, গত ১৪ জুন রোববার প্রেমিক রাজুর সাথে গোপালপুর ঘাটে তার দেখা হয়। সেদিন কথাবার্তার এক পর্যায়ে রাজু তাকে চড়থাপ্পর মারে। পরে তার স্বামী এসে তাকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ক্ষিপ্ত হয়। আর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার কারণে লিটন আগে থেকেই রাজুর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলো। একারণে তারা ওই মিথ্যা অভিযোগ সাজায় রাজু ও অন্যদের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply