সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ফেনীতে ১০ বছরের শিশুকে দোকানে আটকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর অভিযোগে এক সেলুন মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় ১৮ দিন পর ২ নভেম্বর শিশুটির মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিসহ শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা।
স্বজনরা জানান, বনানী পাড়া এলাকার জনৈক আরিফ হোসেন মোল্লার ভাড়া বাসায় থাকে শিশুটির পরিবার। এই বাসার একটি ঘরে থাকে সেলুন দোকানি মানিক চন্দ্র দাস। একই বাসায় ভাড়া থাকায় উভয়ে পূর্বপরিচয় সূত্রে সামান্য হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিলো। গত ১৫ অক্টোবর সেলুন দোকানি মানিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তার জন্য দুপুরে ভাত নিয়ে যায় অপর ভাড়াটিয়ার ১০ বছরের শিশুটি।
সঙ্গে ৮ বছর বয়সী ছোট বোনও ছিল। কৌশলে ছোট বোনকে খাবার(সিঙারা) আনার জন্য বাইরে পাঠায় মানিক। এ সময় বড় বোনকে রেখে দোকান আটকে দেয় সে। পরে মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চোখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ছোট বোন ফিরে এসে দোকান খোলার পর বোনকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। বাসায় ফিরে মা-বাবাকে জানালে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
নির্যাতিত শিশুর মা বলেন, আমি বিচার চাই। যেন দ্বিতীয় শিশুর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
শিশুটির বাবা বলেন, এলাকার কিছু মানুষ এ ঘটনা টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছিলো। আমি রাজি হয়নি। বলেছি, এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হোক। ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, নির্যাতিতা শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন এবং অভিযুক্ত আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার ১৮ দিন পর ২ নভেম্বর শিশুটির মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করলে পরদিন আদালতে ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Leave a Reply