মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: কুড়িগ্রামে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজার জামে মসজিদের পিছনে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তির বাসায় যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। এ সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার শিশু কন্যার হাত ধরে টান দেন ওই নারী।
এ ঘটনায় শিশুটি চিৎকার দিলে বাসার লোকজন বেড়িয়ে এসে ওই নারীকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ওই নারী দৌড় দিলে তারা মিয়া তাকে আটকে ত্রিমোহনী বাজারের একটি দোকানের খুঁটিতে বেঁধে পিটান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এ সময় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ছেলেধরা আটক করা হয়েছে মর্মে পুলিশের সহায়তা চাইলে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কুড়িগ্রাম সদর থানায় গিয়ে দেখা গেছে, ডিউটি অফিসারের রুমের মেঝেতে কম্বল গায়ে শুয়ে বিলাপ করছেন ওই নারী। তাকে পিটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করছিলেন তিনি।
তার নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। কয়েকবার জিজ্ঞাসার পর তিনি নিজেকে রেজিয়া পারভীন নামে পরিচয় দেন। বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে কখনও নাটোরের শিংড়া আবার কখনও গোবিন্দনগর ঠিকানা বলছিলেন।
ওই নারীর আচরণে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে বলে জানান থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ডিউটি অফিসার ও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা জানান, ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে আমাদেরকে ফোন করে জানানো হয় যে, ত্রিমোহনী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পরে আমরা ফোর্স পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিচয় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, ওই নারীকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হচ্ছে। তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে বেঁধে পেটানোর কোনও অভিযোগ পাইনি।
Leave a Reply