শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধি॥ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সাবেক এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জুয়েল গাজী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে গলাচিপা উপজেলার চর চন্দ্রাইল থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর নামে ভুয়া একাধিক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুয়েল। সে গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বাহের গজালিয়া গ্রামের মো. রফিক গাজীর ছেলে।
জানা গেছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি দিয়ে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে জুয়েল গত ৯ জুলাই রাতে পটুয়াখালীর এক সংবাদকর্মীর কাছে পিতৃহারা অসহায় এক ছেলের সাহায্যের জন্য টাকা চায়। এতে বিষয়টি ওই সংবাদকর্মীর সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি আ খ ম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন তার নামে কোনো ফেসবুক আইডি নেই। পরে ওই সংবাদকর্মী কৌশলে প্রতারক চক্রের কাছ থেকে বিকাশ নম্বর ও ফোন নম্বর জেনে নেন এবং আ খ ম জাহাঙ্গীরের কাছে পাঠিয়ে দেন।
ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালিদুল ইসলাম স্বপন এবং আ খ ম জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট সঞ্জয় কুমার দাস ওই মোবাইলের মালিক মো. জুয়েল গাজীকে ডেকে আনেন। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রতারণার রহস্য। পরে জুয়েল গাজীকে গলাচিপা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে আ খ ম জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে একটি চক্র সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্ম করছে। অনেক চেষ্টা করেও এদের ধরতে পারিনি। অবশেষে পটুয়াখালীর এক সংবাদকর্মীর সহযোগিতায় জুয়েল গাজী নামে প্রতারক চক্রের ওই সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করতে সক্ষম হই।
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি চক্র এ সব করছে। তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। কেউ যদি তার নামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় তা গ্রহণ (একসেপ্ট) না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জুয়েল গাজী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে। এই ফেসবুক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ প্রতারক চক্রের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply