রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার গার্মেন্টকর্মী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সুমনকে (২৬) পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় ফতুল্লা থানা পুলিশ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার লক্ষীপুরা এলাকার তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।ধর্ষক সুমন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। এক সন্তানের জনক।
ঘটনার পর থেকে সুমন ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের লক্ষীপুরা গ্রামে শ্বশুর হারুন বেপারীর বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিল।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন এক গার্মেন্টকর্মী তার বন্ধু শামীমকে নিয়ে বান্ধবী মৌসুমীর বাসা নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ আরাফাত নগরের বেড়াতে গিয়ে বিকেলে ঘুরতে বের হয়।
এসময় সন্ধ্যা হয়ে গেলে মেয়েটি বাসায় ফিরতে চাইলে তার বান্ধবী জানায়, আরও সুন্দর স্থানে তারা ঘুরতে যাবে।কৌশলে মেয়েটিকে ফতুল্লা এলাকার বক্তাবলী নদীর পাশে সেলিম উদ্দিনের ইটভাটার একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়।
এ সময় গার্মেন্টকর্মীর বন্ধু শামীমকে আটকে ফেলে জোরপূর্বক সুমন, ইমরানসহ ৫ জন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এসময় সুমন ও ইমরান মেয়েটির মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।রাত সোয়া ১০টার দিকে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটি বাদী হয়ে তার বান্ধবী মৌসুমীসহ ৪ জনকে চিহ্নিত এবং অজ্ঞাত আরও ৩ জনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ফতুল্লা থানার ইনসপেক্টর) মো. আজিজুল হক জানান, এ মামলা প্রধান আসামি সুমনকে ভাণ্ডারিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে তার বন্ধবী মৌসুমীসহ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply