কলাপাড়ায় বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কলাপাড়ায় বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা

কলাপাড়ায় বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা

কলাপাড়ায় বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা




কলাপাড়া প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও মাত্র ১০ মিনিটের আচমকা কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। অধিক পরিশ্রমে অর্জিত ফসল ঘরে তোলার আগেই এখন কৃষকের বোরো ক্ষেতে অর্ধেক ধান চিটায় পরিণত হয়েছে।

 

 

গত রোববার রাতে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসে এমন সর্বনাশ হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছেন মৌসুমি চাষিরা। তবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

 

 

সরেজেমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির বোরো ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ক্ষেতের ধানের ছড়া হাতে ধরলেই সর্বনাশের চিহ্ন চোখে পড়ার মতো। অপরিপক্ক ধান ক্ষেতের প্রত্যেকটি ছড়ায় প্রায় অর্ধেকটাই লালচে-খয়রি রঙ ধারণ করে চিটা হয়ে গেছে।

 

 

কৃষকরা বলছেন, আমনের কাঙ্খিত ফলন না পেয়ে ধানের ভাল দাম থাকায় বোরোর ব্যাপক আবাদ করেছিলেন তারা। এখন ফলন ভালো হলেও নতুন করে দারুন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বোরো চাষিরা।

 

 

কুমিরমারা গ্রামের চাষি সাইফুল্লাহ গাজী জানান, তিনি প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে ৭০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ করে বোরো আবাদ করেছেন লাভের আশায়। এখন ক্ষেতের দিকে তাকাতে পারছেন না। ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

 

 

চাষি জাকির গাজী জানালেন, তার তিন একর বোরো ক্ষেতের প্রায় দুই একর চিটায় পরিণত হয়েছে, কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বুঝতে পারছেন না।

 

 

চাষি সুলতান জানান, প্রতিটা ছড়ায় ২৫০ থেকে প্রায় ২২০ টা ধান থাকে। তবে তার ক্ষেতেও এখন অর্ধেকটাই চিটা। এছাড়াও তিনি জানান, শুধু নীলগঞ্জ ইউনিয়ন নয়। একই দুরাবস্থা উপজেলার প্রতিটা ইউপির চাষিদের । উৎপাদন খরচ ঘরে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন অনেক বোরো চাষিরা।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, এবছর ১২ হাজার ৩৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন চাষিরা। যা গত বছরের চেয়ে অন্তত ছয় গুন বেশি। ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে তাপদাহের ফলে ঠিকমতো পরাগায়ন না হওয়া একটি কারণ। হিট ইনজুরির কারণে ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে । তবে কৃষকদের ক্ষেতে পানি ছিটানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD