কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেপথ্যে অপ্রতিরোধ্য কোচিং বানিজ্য Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেপথ্যে অপ্রতিরোধ্য কোচিং বানিজ্য

কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেপথ্যে অপ্রতিরোধ্য কোচিং বানিজ্য




কলাপাড়া প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনীর গনিত পরীক্ষার শনিবার (১১ আগষ্ট) অনুষ্ঠিতব্য গনিত পরীক্ষার প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে চলে আসায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মত প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের প্রশ্ন ফাঁসের এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিবাবকরা। উপজেলা প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন তদন্ত সাপেক্ষে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি প্রাথমিক শিক্ষা স্তর পর্যন্ত চলে আসায় উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে আগামী প্রজন্ম’র বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা নিয়ে। নির্ভরযোগ্য সূত্র ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়ায় সরকারী ১৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রায় ২০০টি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী ৮ আগষ্ট থেকে একই সময় সূচীতে তাদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২য় সাময়িক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের পরীক্ষার সময় সূচী, প্রশ্ন পত্র তৈরী, সরবরাহ সহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনায় প্রতি উপজেলায় পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি রয়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সভাপতি, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা অফিস থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত তৈরীকৃত প্রশ্ন পত্র সমূহ বিষয় ভিত্তিক পৃথক খামে সীলগালা করে সরবরাহ করা হয় স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ২০/৩০ মিনিট পূর্বে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদের উপস্থিতিতে খাম খুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এরপর ঘন্টা পরার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করবেন। কিন্তু কতিপয় কোচিংবাজ শিক্ষকরা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মৌখিক কিংবা ফটোকপি করে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছেন তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে; যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝে। এছাড়া কলাপাড়া মঙ্গলসুখ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ৮ আগষ্ট প্রাক-প্রাথমিকের গানিতিক দক্ষতা বিষয়ের পরীক্ষা নিতে গিয়ে গনিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের খাম খোলায় প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তার বিষয়টি ক্ষুন্ন হয়েছে। অথচ উপজেলার অন্যান্য সকল বিদ্যালয়ে গনিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শনিবার (১১ আগষ্ট)। প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি শহর জুড়ে ছড়িয়ে পরার পর মঙ্গলসুখ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম আর্শ্বেদ তার ব্যবহৃত (০১৭১৩৯২৩০৬৫) মুঠো ফোনের গ্রামীন সিমটি বন্ধ রাখেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবুল বশার বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। এ বিষয়ে কঠোর ভাবে গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও যদি ফাঁস হয়ে থাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সত্যতা পেলে সে বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া উচিত হবেনা। এটি পাবলিক পরীক্ষা না হলেও কোনভাবেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। আমি একটু খোঁজ খবর নেই; তারপরে ব্যবস্থা নিচ্ছি। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অফিস থেকে গত ১১জুলাই ই-মেইলের লিখিত বার্তায় ৫দিনের মধ্যে কারন দর্শাতে বলা হলেও অদ্যবধি তিনি কোন জবাব দেননি। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মঙ্গলসুখ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদায়নে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে সুপারিশ করার অভিযোগ রয়েছে ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD