শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ কলাপাড়া উপজেলার আলীপুরের মো: মতিউর রহমানের গত ২১ জুলাই কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য গোপন করার দাবী করে সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই এলাকার মো: আবুল কালাম ফরাজী।
আবুল কালাম ফরাজী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা মরহুম আমজেদ আলী ফরাজী গং জে-এল ৩৪নং লতাচাপলী মৌজার আরএস ৬৮ নং ও এসএ ১২০, ২০২, ৯৮৯ নং খতিয়ান সমূহ থেকে ১৮.২৩ একর জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে প্রায় ৫০ বছর ধরে বাড়ি-ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছি। এবং ওই জমি থেকে মো: মতিউর রহমান গংদেও নিকট বিভিন্ন তারিখে ৯.৭১ একর জমি বিক্রয় করা হয়।
ওই জমি পর্যায় ক্রমে মো: মতিউর রহমান গংরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের কাজ বিক্রি করেন। এর পর বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমল থেকে বর্তমান সরকারের স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির মাধ্যমে প্রায় ৬ একর জমি অবৈধ ভাবে দখলে নেয় প্রভাবশালী মো: আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মতিউর রহমান ও তার সা্গংপাঙ্গরা।
বর্তমানে ওই জমি নিয়ে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা চলমান এবং স্থিতি আদেশ রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও দাবি করেন, ওই জমির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ভাবে কলাপাড়া সাবরেজিষ্ট্রারের ওপর দলিল নিষেধ থাকার পরেও সাব রেজিষ্ট্রার মো: নজরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় গত ১৬ জুলাই প্রায় দুই একর জমির দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেছেন মো: মতিউর রহমান গং।
সাব রেজিষ্ট্রি আফিসের বক্তব্য বিধি মোতাবেক দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি। সাংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম ফরাজী আরোও দাবি করেন, মতিউর রহমান কলাপাড়া প্রেসক্লাবে গত ২১ জুলাইর সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞ জজ ১ম আদালতের মোকাদ্দমার কথা স্বীকার করলেও বিজ্ঞ আদালতের স্থিতি আদেশ গোপন রেখেছেন। এবং জমি নিয়ে সুপ্রীপ কোর্টেও আপীল ১৩৭/২০১৭ লীভ টু আপিল বিচারাধীন থাকলেও তা উল্লেখ করেননি।
এ ব্যাপারে মো. মতিউর রহমান বলেন, জমির দলিল করার ব্যাপারে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। আমরা সরকারি নিয়ম মেনে দলিল সম্পাদন করেছি। সেখানে কোন অনৈতিক পন্থা গ্রহন করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Leave a Reply