শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে , প্রতিদিনিই বাড়ছে মৃত্যৃর সংখ্যা। এরই মধ্যে প্রতিবেশী ভারত ও নেপালে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশও ভাইরাসটি বিস্তারের শীর্ষ ঝুঁকিতে আছে। কারণ আক্রান্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিদিনই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দেশের হোটেলগুলোকে করোনা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের করণীয় কী সেগুলো জানানো হয়েছে
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে (আইইডিসিআর) করোনা ইস্যুতে নিজে থেকে এসে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৪ জন। মঙ্গলবার ৬ জনের নমুনা সংগ্রহসহ আমরা ১০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে দেখেছি। এখনো আরও ৪ জন আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে এদের কারোও মধ্যেই করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া না গেলেও আমরা ঝুঁকিমুক্ত নই, বরংযাত্রী যাতায়াতের দিক থেকে এখন উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। করোনাভাইারাস মোকাবেলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিন স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, জাতীয় কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জেলা কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রতিটি কমিটিতেই থাকবেন স্ব স্ব জেলার সিভিল সার্জন।
করোনা মুক্তির সনদ ছাড়া ইতালিসহ চার দেশের যাত্রী বাংলাদেশে ঢুকতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কুয়েতের যাত্রীরা করোনা মুক্তির মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেউ আসতে চাইলে সেখানে থাকা আমাদের দূতাবাসে ভিসা আবেদন করেই আসতে হবে। কারণ যাত্রী যাতায়াতের দিক থেকে এখন উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।
ইতালিতে ১ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ইতালিতে আমাদের দেশের একজন নাগরিকের করোনাতে আক্রান্তের তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আক্রান্ত ব্যক্তিকে তারই বাসায় কয়ারেন্টেন এ রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে থাকা আমাদের দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে, আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আক্রান্তের ধরন গুরুতর না তাই তাকে তার বাসাতেই রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে করোনা আক্রান্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৯০ হাজার ৮১৭ জন করোনা আক্রান্ত। এদের মধ্যে ১৩০ জন শেষ ২৪ ঘণ্টায় শুধু আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে শুধু চীনে মৃতের সংখ্যা বেয়েছে আরও ৩১ জন। মোট ৭৩টি দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। চীন ছাড়া বাকি ৭২টি দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭৯২ জন। এদের মধ্যে চীনের বাইরে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬৬ জন। বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Leave a Reply