সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মুহম্মদ এরশাদের রংপুরে নেওয়া হচ্ছে।মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে।
বেলা ১১টায় এরশাদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হবে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং তাকে শেষ দর্শন করবেন। বাদ জোহর তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজায় ইমামতি করবেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। তাকে সমাহিত করতে পল্লীনিবাসের লিচু বাগানে প্রস্তুত করা হয়েছে কবর।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের জানাজা শেষে হেলিকপ্টারযোগে বিকেলে ঢাকায় আনা হবে এরশাদের মরদেহ। এরপর সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) বাদ আসর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানাজায় অংশ নেন।তার আগে সকাল পৌনে ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার টানেলে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা।
জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, এরশাদের মরদেহের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু রংপুরে যাচ্ছেন।১০ দিন ধরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা এরশাদ রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা যান।
Leave a Reply