বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীর একাংশের ছেলেমেয়েদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কাশীপুরে আব্দুল্লাহ দারুস সালাম নূরানী ও কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান করেন ছাদুল্লাহ সিকদার। তিনি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তার নিজ জমিতে ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান করে তার দায়িত্ব দেন একজন দর্জি ব্যবসায়ী ওমর ফারুককে।
আর দর্জি ব্যবসায়ী তার ব্যবসা থেকে বের হতে পারেননি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মাদ্রাসা নিয়ে শুরু হয় তার ব্যবসা। এরপর ওমর ফারুককে সরিয়ে দেয়া হলে বেসামাল হয়ে পড়েন তিনি।
মাদ্রাসার জমি দাতা মোতয়াল্লি ও প্রতিষ্ঠাতা ছাদ্ল্লুাহ সিকদার বলেন, বিএম কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলাম। আমার সাথে বর্তমান মন্ত্রীর মর্যাদায় থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রয়াত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সিকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ কুতুব উদ্দিন, অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হানিফ,
সাংবাদিক এসএম ইকবাল, খান সন্স এর চেয়ারম্যান প্রয়াত হাবিবুর রহমান খান, ব্যারিস্টার মো. আকতারুজ্জামান, প্রয়াত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ ও নাছিম বিশ্বাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা বর্তমানে যারা জীবিত রয়েছেন তাদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল এখনো আছে। তারা সকলেই এক নামে আমাকে চেনেন এবং জানেন। এছাড়া বিএম কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় আমি রোভার স্কাউটে ইউওটিসি’র সার্জেন্ট এবং ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচারের বিএম কলেজের সেক্রেটারী ছিলাম।
আমার হাতে গড়া ইউওটিসি এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। সেখান থেকে আমার সাথে সুসম্পর্ক হয় মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ব্যারিস্ট্রার শাহজাহান ওমর ও মুক্তিযোদ্ধা এমজি কবির ভুলুসহ নামীদামী বহু ব্যক্তির সাথে। আর এসব ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত হওয়ার সাথে সাথে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একজন ভন্ড লোকের প্রতারনায় আমার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি যখন শেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন এলাকাবাসীর বুদ্ধি পরামর্শে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হই। এখন এ ভন্ড ব্যক্তি আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
ছাদুল্লাহ সিকদার বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠাকালিন মসজিদ মাদ্রাসা থেকে শুরু করে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন ইসলামের জন্য আমি আমার ধন সম্পদ দান করবো। ছাদুল্লাহ বলেন, ১৯৬৫ সালে সামরিক বাহিনীর কমিশন র্যাঙ্কে সিলেক্ট হয়েও মায়ের নিষেধের কারনে যোগদান করতে পারিনি। এছাড়া আইউব খানের সময় তৎকালীন হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাভোগ করেছি। এভাবে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে আমার নাম জড়িয়ে আছে।
তাছাড়া আমি দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম প্রচারে তাবলিগ জামায়াতের সাথে জড়িত রয়েছি। প্রতিনিয়ত আমি ইসলামের খেদমতে কাজ করছি। আমার পথ অনুসরন করতেই আমার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি আমার ছেলে আহসান উল্লাহ নিয়াজকে। যার নামে কেউ কোন দুর্নাম দিতে পারবে না। অথচ দর্জি ওমর ফারুক তার বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার করছে।
আামি তার দুর্নীতি ধরার জন্য অডিট কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা বিল ভাউচারের অডিট করছেন। এখনো তা চলমান। অথচ এর পূর্বেই দর্জি ওমর ফারুক প্রচার চালাচ্ছে অডিটে তার বিপুল টাকা পাওনার বিষয়টি উঠে এসেছে।
আমার ধারণা সে যে টাকা বকেয়া থাকার কথা বলছে সে টাকা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার কাছে পাবে। সে দায়িত্ব থাকাকালীণ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেহারা পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বেড়েছে জমির পরিমাণও। কিন্তু মাদ্রাসার চেহারা আরো খারাপ হয়েছে।
ছাদুল্লাহ সিকদার বলেন, আমার মাদ্রাসা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা সনাক্ত করে মাদ্রাসা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট যাবো।
Leave a Reply