শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
আরিফ হোসেন, বাবুগঞ্জ ॥ বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য আদালত নির্দেশনা দিলেও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ৫২টি পণ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে বরিশালের বাবুগঞ্জের বাজারগুলোতে।
আদালতের এক রিট শুনানির আদেশে উচ্চ আদালত বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, খাবারের মসলা, পানি, সেমাই, ঘি, ময়দা, দই, চানাচুর, মধু, লবণসহ বিভিন্ন ধরনের ৫২টি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধ এবং সেগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেয়। বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে পুনরায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ওই রায়ে। আর এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন আদালত।
আদলতের আদেশের এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত কর্নপাত করছেন না ব্যবসায়ীরা।শনিবার উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজার , রহমতপুর বাজার, মাধবপাশা বাজার, মীরগঞ্জ বাজার, স্টীমার ঘাট বাজার, বাহেরচর বাজার , আগরপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজারের দোকানে এখনো সেসব পণ্যের মজুদ দেখা যায়। চলছে এসব পণ্যের রমরমা বিক্রি।
ভেজাল ৫২ পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের নাম।॥ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় প্রমাণিত কম্পানি এবং ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্যগুলো হলো—সিটি অয়েলের তীর সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিং ভেজিটেবল অয়েলের জিবি সরিষার তেল, শবনম ভেজিটেবল অয়েলের পুষ্টি সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা সরিষার তেল, আরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের আরা ড্রিংকিং ওয়াটার, আলসাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, শাহারী অ্যান্ড ব্রাদার্সের মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ন ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরআর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘি ড্রিংকিং ওয়াটার, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রডাক্টের ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের (টেস্টি, তানি, তাসকিয়া) সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুডের প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, প্রাণের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, মঞ্জিলের হলুদের গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, সান ফুডের হলুদের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদ ও মরিচের গুঁড়া,
মিষ্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, অয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, কিরণের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযুক্ত লবণ, নুরের আয়োডিনযুক্ত লবন, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, কাশেম ফুডের সান চিপস, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, বনলতার ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি ও গ্রিন লেনের মধু। এসব পন্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার বলেন, এ ব্যপারে অভিযান চালাতে এখন পর্যন্ত কোন চিঠি পাই নি। নির্দেশনা আসলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply