অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো আগৈলঝাড়ার মেম্বার কুদ্দুস ও মাতুব্বর শামীম ! Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো আগৈলঝাড়ার মেম্বার কুদ্দুস ও মাতুব্বর শামীম !

অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো আগৈলঝাড়ার মেম্বার কুদ্দুস ও মাতুব্বর শামীম !




থানা প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মারমারারির ঘটনা নিরসন করতে এক ইউপি সদস্যকে ক্ষতি পুরণের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েও মামলা ও পুলিশী গ্রেফতার থেকে রেহাই পায়নি একটি পরিবার।মিমাংসার নামে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া ওই ইউপি সদস্য ও মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের মো. হাকিম ফকিরের ছেলে শামীম, ইসাহাক ও আমীন ফকিরসহ অন্যান্যরা স্থানীয় আমিনুল বালীর দোকানে ক্যারাম বোর্ড খেলার সময় গত ২০ নভেম্বর ওই ক্যারাম বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে একই এলাকার আবুল কাশেম ঘরামীর ছেলে ও রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির ঘরামী।

ক্যারাম বোর্ড ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধরা শিক্ষক জাকির ঘরামীকে মারধর করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই মারধরের ঘটনায় আহত শিক্ষকের চিকিৎসা করানো ও ঘটনা নিরসন করার নামে গৈলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কুদ্দুস মোল্লা ও স্থানীয় মাতুব্বর মজিদ বালি হামলাকারী শামীম ফকিরের বাবা হাকিম ফকিরের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

কিন্তু মেম্বার কুদ্দুস ও মাতুব্বর শামীম বালি তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরেও আহত ওই শিক্ষকের স্ত্রী নাসরিন বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-১৮। ওই মামলায় শামীম ফকিররা তিন ভাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে আদালতের নির্ধেশে জামিনে রয়েছে। কিন্তু ঘটনা নিরসরেনর জন্য মেম্বর বা ওই মাতুব্বর কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।

এদিকে মেম্বর কুদ্দুসের নেয়া ওই ৫০ হাজার টাকা চাইতে গেলে হাকিম ফকির ও তার ছেলে শামীম গংদের সাথে কুদ্দুস টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে হামলার স্বীকার হওয়া ওই শিক্ষক জাকির ঘরামী জানান, মেম্বার কুদ্দুস মোল্লা বা শামীম বালী তাকে এক টাকাও দেয়নি।

অভিযুক্ত কুদ্দুম মেম্বার তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সোহরাব হাসেন বাবুল ঘটনা মিমাংসার জন্য ৫০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছেন। বিষয়টি আরও অনেকেই জানেন জানিয়ে বলেন, ওই মেম্বর ঘটনাটি আসলেই দুঃখ জনক বলে মন্তব্য করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিন জানান, টাকা লেনদেনের ঘটনা তিনি শুনলেও আইনগত ভাবে তার কিছুই করার নেই। তদন্তাধিন ওই মামলায় সহসাই চার্জশীট প্রদান করবেন বলেও জানান তিনি।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হাসেন বলেন, টাকা দেয়া নেয়ার ব্যপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে মেম্বর বা অন্যকেউ টাকা নিয়ে প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD