অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বরিশালে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বরিশালে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য

অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বরিশালে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য




নিজস্ব প্রতিবেদক॥  বরিশালের স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বাধ্যতামূলক কোচিং, শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি, বাড়তি ফি আদায়ে হতাশ অভিভাবক মহল, দেখার কেউ নেই। কোচিং বাজ শিক্ষকদের রুখবে কে?

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে নীতিমালা জারি করে সরকার। এ নীতিমালা শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না তা দেখভালের দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। অথচ শিক্ষকরা এ নীতিমালা না মেনে পুরোদমে প্রাইভেট টিউশনিতে ব্যস্ত। তাহলে বরিশাল মাউশি কী করছে?সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, কোচিং বানিজ্য বন্ধে নীতিমালার যে বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া দরকার তা করছে না বরিশাল মাউশি।

মাঠ পর্যায়ের চিত্র বিশ্লেষণে বলা যায়, বরিশালের স্কুল-কলেজে নেই মনিটরিং। স্কুল-কলেজে কী হচ্ছে তা জানেনা বরিশাল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। যেন গাছাড়া ভাব। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একাধিক বিধিমালা করা হয়েছে। এ বিধিমালা ঠিকমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানা হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের।

কিন্তু বরিশাল মাউশি কি তার এসব দায়িত্ব পালন করছে এমন প্রশ্ন অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের।বরিশাল নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, স্কুলটির বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরোদমে বাধ্যতামূলক কোচিং করানো হচ্ছে। এমন কী কোচিং করানো নামে অভিভাবক সম্মতির আবেদন ফরমে বাধ্য করে স্বাক্ষর নিচ্ছে ।

আবার কিছু কিছু শিক্ষক স্পেশাল ক্লাসের নামে নিজের বাসায় কোচিং করাচ্ছে যা, অনুসন্ধানে বেড়িয়েে এসেছে। কোচিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা তুলে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। অথচ সরকারে নীতিমালা অনুযায়ী কোনো স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক কোচিং করা যাবে না।

শুধু কলেজিয়েট স্কুল নয়, জিলা স্কুল, বালিকা বিদ্যালয়, উদয়ন স্কুল, মডেল স্কুল, শহিদ আরজু মণি স্কুল, অক্সফোর্ড মিশন স্কুল, বিএম স্কুল, সরস্বতি স্কুল, কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয়সহ বরিশালের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মানছে না শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা।

বরিশাল মাউশি এ বাধ্যতামূলক কোচিং বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। মাঝে মাঝে বরিশাল জেলা প্রশাসকের উদ্দ্যেগে ভ্রাম্যমান ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা ফ্রি লানসারদের কোচিংগুলোকে অর্থদন্ড করা হলেও ধরাছোয়ার বাইরে থাকছে স্কুল শিক্ষকদের কোচিংগুলো।

যা জনমনে প্রশ্ন উঠছে কোচিং করানো নিষিদ্ধ সরকারি-বেসরকারি স্কুল শিক্ষকদের আর জরিমানা করা হচ্ছে প্রাইভেট কোচিংদের।তাই এ বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন অভিভাবকমহল।

উচ্চ মাধ্যমকি শিক্ষা অধিদপ্তররে সহকারি পরিচালক শামসুল আরেফিন বলেন, বিষটি শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD