রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: পাবনার আমিনপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী পাবনার বেড়া উপজেলার আলহাজ¦ ইমান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।নববর্ষের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।আসামি দু’জন হলো-আমিনপুর থানার বৃ-নান্দিয়ারা গ্রামের আবুল শেখ ওরফে আবু সাইদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের আবুল সাপুরিয়ার ছেলে আলামিন ওরফে মুজিব (২৪)।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রী জানায়, আমিনপুর থানার দিঘলকান্দি গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে রোববার দুপুরে বাঘলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে অটোভ্যানে রওনা হয় সে। পথিমধ্যে অটোভ্যান নষ্ট হয়ে গেলে তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে দেন ভ্যানচালক। কিছু পথ অতিক্রমের পর চালক আলামিন ও তার বন্ধু জহুরুল অটোরিকশাটি একটি নির্জন বাগানের মধ্যে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পড়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে রোববার রাতে আমিনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কর্তব্যরত গাইনী চিকিৎসক ডা. সাবেরা গুলরুখ জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় স্কুলছাত্রীকে নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে।নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা জানান, রোববার বিকেলে আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় কয়েকজন লোক বাড়ি পৌঁছে দেয়। মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আমিনপুর থানায় আমি মামলা দায়ের করেছি। দিনে দুপুরে যারা আমার মেয়েকে এভাবে নির্মম নির্যাতন করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনেছি। শিক্ষার্থীর পরিবার রোববার রাতে আলামিন ও জহুরুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply