শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি ॥
স্বামী কর্মসুত্রে ঢাকায় থাকেন। পুত্র বধু ও শশুর-শাশুরি গ্রামের বাড়ীতে থাকেন। স্বামীর অবর্তমানে ফোনে আলাপ হয় শিংড়াবুনিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে কামরুল এর সাথে । তা থেকেই গৃহবধুর পরকীয়া প্রেম শুরু হয়। ঘটনাটি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাত অনুমান ১০টায় একই গ্রামের এনামুল হক রিপন এর স্ত্রী এক সন্তানের জননীকে তার শশুর পুত্র বধু খাদিজাকে তার পরকীয়া প্রেমিক সহ গৃহবধুর স্বামীর বসত ঘরের মাচার উপরে অপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হিরু মিয়ার কাছে প্রেমিক-প্রেমিকা সোপর্দ করে। ইউপি সদস্য হিরু মিয়া প্রশাসনের হাতে তুলে না দিয়ে সাড়া রাত ছেলেটিকে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। সকাল ১০টায় অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু ও মহিলা ইউপি সদস্য সাজেদা , ইউপি সদস্য গিয়াস , এ্যাড, জব্বার, ইসমাইল, গ্রাম পুলিশ হানিফ, ইউপি সদস্য হিরুর বাড়ীতে এসে বিস্তারিত শুনে কোন সমাধান না দিয়ে, গৃহবধুকে লিখিত অঙ্গীকারের মাধ্যমে তার ভাই রাসেল এর কাছে বাবার বাড়ীতে জিম্মায়দেন।
ও পরকীয়া প্রেমিক কামরুল কে তার ভাই জিম্মাায় নেন। গৃহবধুর শশুর আলহাজ্ব এস.এম কামাল বলেন, ছেলের বৌ হয়ে বাড়ীতে আশার পর থেকেই কামরুলের সাথে অবৈধ কার্য্যকলাপে লিপ্ত হয়। বিষয়টি ওয়ার্ড মেম্বরকে জানালে আমলে না নিয়ে, হাতে নাতে ধরতে বলেন। ঘটনার দিন আমি মসজিদে এশার নামাজ পরে ঘরে এসে টেলিভিশনে সংবাদ দেখি, আমার স্ত্রী ঘরের মাচায় শব্দ পেয়ে আমাকে ডাক দেয়, আমি ও আমার স্ত্রী মাচায় উঠে দেখতে পাই, পুত্র বধু তার পরকীয়া প্রেমিক নিয়া বিছানায় ও অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকে। আমি ছেলেটিকে ধরে ফেলি ও মেম্বরের হাতে তুলে দেই। কোন কিছু না বলে প্রভাবশালীরা তাদেরকে নিয়া যায়। এবিষয় পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply