বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী সংবাদদাতা॥ পটুয়াখালীর দুমকির লেবুখালী ফেরীঘাটের সড়কে হাঁটু সমান কাদায় একাকার হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভােগ দেখা দিয়েছে। কিছুদিনের টানা বৃষ্টিতে ফেরীঘাট এলাকার একবর্গ কি.মিটার জুড়ে হাটু কাদা পরিপূর্ণ হওয়ায় যানবাহন চলাচলেও এমন অবর্ণনীয় দুর্ভােগ দেখা দেয় । দূর-পাল্লার ও অভ্যন্তরিন রুটের যানবাহন সিএনজি, অটােবাইক, মাটরবাইক যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচলে অহীর্ণ দুর্ভােগের শিকার হতে হচ্ছে।
সােমবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে লেবুখালী ফেরীঘাট পরিদর্শণে গিয়ে এমন দুর্ভােগের বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর উভয় তীর ফেরীঘাট থেকে প্রায় ১কি.মিটার জুড়ে হাটু পরিমান কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। হাটুকাদা পেড়িয়ে পায়ে হেটে বা যানবাহনে চড়ে যাত্রীদের ঘাটে পৌছে ফেরী পারাপার হতে হয়। হাটুকাদা অতিক্রমের উটকা বিড়ম্বণার শিকার হতে হয় যানবাহন ও যাত্রীদের। বিশেষত: পায় হেটে চলাচলে পথচারী বৃদ্ধ ও শিশুদের কস্ট বেড়েছে কয়েকগুণ।
ফেরীঘাটের ব্যবসায়ী আবদুল জলিল ফরাজী জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে ঘাটের উভয় তীরের রাস্তা কাদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এ কাদা-পানির বিড়ম্বণা সহ্য করেই এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারী ও দূর-দুরান্তের যাত্রী সাধারণকে ফেরীঘাট অতিক্রম করত হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর মাটি খােঁরাখুঁরিতে যত্রতত্র মাটির একটানা বৃষ্টির পনিতে কাদা হয়ে ছড়িয় ঘাটের এমন দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাষ্টার আলমগীর হাসন জানান, মাটি-কাদায় সয়লাব থাকায় ফেরীঘাট এলাকায় জনচলাচল মারাত্মক দুর্ভােগ বেড়েছে। হাটুকাদা মাড়িয়ে যাত্রী সাধারণকে ঘাটে যাতায়ত করতে হচ্ছে । ঠেকায় না পড়লে কেউ হাটুকাদা পেরিয়ে ঘাটে আসতে চায় না। যানবাহনের যাত্রীরাও ফেরীঘাটে নামতে পারছেন না। এতে ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রিতেও ধস নেমেছ। ফেরীঘাটের ক্ষুদ্র আবদুর রশিদ প্যাদা, জাকির হােসেন মােল্লা, মনির হােসন আকনসহ অনেকের দাবি, নির্মানাধীন পায়রা সেতুর গােড়া থেকে ঘাটপর্যন্ত প্রায় ১কি.মিটার জুড়ে হাটুকাদায় সয়লাব থাকায় ফেরীঘাটের ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
ফেরীঘাটের দায়িত্বরত ফেরী সুপার ভাইজার আবদুল কুদ্দুস বলেন, নির্মাণাধীণ পায়রা সেতুর গার্ডার পাইলিং করতে গিয়ে এ্যাপ্রােজ সড়কের ওপর কাদা ছড়িয় ঘাটের এমন দুরাবস্থা হয়েছে। ব্রিজের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কমলে রদ্রে শুকিয়ে গেলে আর তেমন কােন অসুবিধা থাকবে না।
Leave a Reply