রুটির কারিগর ভুমিদস্যু রিপন বড়ই ভয়ংকর ! Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রুটির কারিগর ভুমিদস্যু রিপন বড়ই ভয়ংকর !

রুটির কারিগর ভুমিদস্যু রিপন বড়ই ভয়ংকর !




স্টাফ রিপোর্টার: রুজি রোজগারের প্রয়োজনে আসানসোলের রুটির দোকানে কারিগর হয়ে এসেছিলেন কবি নজরুল। কবি শুনিয়েছিলেন অমোঘ কবিতা। মুগ্ধ হয়েছিলেন পুলিশ কর্তা, খুব কাছে টেনে নিয়েছিলেন। তেমনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ডিক্রীরচর গ্রামের রিপন হোসেন রুটির কারিগর হয়ে এসেছিলেন সদর উপজেলার লাকুটিয়া গ্রামে রুজি রোজগারের প্রয়োজনে। তিনিও শোনালেন কবিতা, তবে তা কবি নজরুলের প্রেম সাম্যের কবিতা নয়, কবি রিপন শোনালেন ভুমিদস্যুতার কবিতা, সৃষ্টি করেছেন ভুমিদস্যুতার ফিল্মী কাব্য, উপন্যাস, বড়ই বিমুগ্ধ হচ্ছেন লাকুটিয়াবাসী। কিন্তু লাকুটিয়াবাসীর যে কিছুই করার নেই, কারন ইংরেজরা যেমন ব্যবসা করতে এসে বাংলা দখল করেছিল, ঠিক তেমনি রুটির কারিগর রিপন হোসেন এখন লাকুটিয়ার ভয়ংকর ভুমিদস্যু কবি। ইংরেজদের কাছে বাংলার মানুষ যেমন অসহায় হয়ে পড়েছিল তেমনি এলাকার মানুষ ভয়ংকর ভুমিদস্যু কবি রিপনের অবৈধ টাকা, সন্ত্রাসী বাহিনীর নিকট অসহায়। তিনি আদালতের আদেশের প্রতিও বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাতে সামান্য দ্বিধাবোধ করেন না, বর্তমান সভ্যযুগেও তিনি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে বৃদ্ধ থেকে বাচ্চা, গৃহবধু মারধর করে, রান্না করা খাবার ফেলে দিয়ে, পৈচাসিক কায়দায় নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দেন। তারপর বসতঘরে লুটপাট, ভাংচুর করে জমি দখল করেন। বরিশালের সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ২৪৩/২০১৮ এর সূত্রমতে জানা যায়, বরিশাল জেলার বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত জে.এল. ৯নং সারসী মৌজার বি.এস চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১৩৫নং খতিয়ানের সৃজিত ১২১৫নং খতিয়ানের নতুন জরিপি ২ দাগের ৩২ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ১০.৩০ শতাংশ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রিয় এবং গায়ের জোরে নিরীহ, সহজ সরল জনগনের বসতভিটা সম্পত্তি জবরদখলকারী হিসাবে সুপরিচিত বিমানবন্দর থানাধীন বিল্ববাড়ী গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে সোহেল আজাদের জবরদখল থেকে বাচতে এই মোকদ্দমা দায়ের করেন অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধা। মোকদ্দমার বাদী সেলিম মৃধা দেওয়ানী কার্য বিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১/২ নিয়ম ও ১৫১ ধারার বিধান মতে বিবাদী সোহেল আজাদের প্রতিকূলে নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রার্থনায় উল্লেখ করেন, বরিশাল জেলার বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত জে.এল. ৯নং সারসী মৌজার বি.এস চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১৩৫নং খতিয়ানের নতুন জরিপি ২ দাগের ৩২ শতাংশ জমি আবদুল কাদের মৃধা ৬৬৭ অংশ ও ফাতেমা বিবি ৩৩৩ অংশের জমিতে ধখল কার বিদ্যমান থাকেন। বি. এস রেকর্ডীয় মালিক আবদুল কাদের মৃধা তার সম্যক রেকর্ডীয় ২১.৩৩ শতাংশ জমি গত ২৮/০৭/২০১৫ ইরেজি তারিখের রেজিষ্ট্রিকৃত ৭৯৮৩নং হেবার ঘোষনাপত্র দলিলমূলে অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই ছেলেকে দান করেন। অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদর ২১.৩৩ শতাংশ জমি বরিশাল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের ২০১-১৮ সনের ১৯৬১ (২) কেটি নামজারী ও জমা খারিজ মোকদ্দমার গত ০৩/১০/২০১৭ ইংরেজি তারিখের আদেশ বলে সৃজিত ১২১৫ নং খতিয়ান খোলছেন। ঐ জমির মধ্যে ১০.৩৩ শতাংশ জমি মোকদ্দমার চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নিমিত্তে বিরোধীয়। যাতে অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরের ঘরবাড়ী, বাগান আছে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে বসতবাড়ী বাবদ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারী ট্যাক্স প্রদান করে রশিদ প্রাপ্ত হইতেছেন। এছাড়াও বিরোধীয় জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাইয়া উপস্বত্বাদী ভোগ দখল করে আসতেছেন। বিরোধীয় জমি এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রিয় এবং গায়ের জোরে নিরীহ, সহজ সরল জনগনের বসতভিটা সম্পত্তি জবরদখলকারী হিসাবে সুপরিচিত বিমানবন্দর থানাধীন বিল্ববাড়ী গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে সোহেল আজাদ বা অন্য কারো কোন স্বত্ব দখল বা অধিকার নাই। অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদর বিবাদী সোহেল আজাদসহ স্থানীয় সকলের জ্ঞাতসারে দেশ তথা রাষ্ট্র স্পষ্টভাবে ও নিরাংশে এবং অপরের স্বত্ব অস্বীকারে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিরোধীয় ১০.৩৩ শতাংশ জমি সুদীর্ঘ দ্বাদশ বৎসরের বহু বেশী সময়কাল ভোগদখল করে আসতে থাকায় অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরের নিজ নিজ স্বত্ব ছাড়াও এক অলংঘনীয় বিরুদ্ধজনিত স্বত্ব উদ্ভব হয়েছে। বিরোধীয় জমিতে অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরের এক্সক্লুসিভ পজেশন রয়েছে। বিরোধপূর্ন জমি বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলের জমি হওয়ায় অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদর বাস্তুভিটা হিসাবে ব্যবহার করে আসতে থাকায় ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৬ ধারার বিধান মতে জবরদখল, উচ্ছেদসহ সকল প্রকার আইনানুগ প্রক্রিয়া থেকে অব্যহতি পাবেন। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়ালের ১৬৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদর বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলে বসবাস করায় তাদের বাস্তুভিটার জমি নিলাম, ক্রোক বা অন্য কোন প্রকারে দায়বদ্ধ বহির্ভূত বলে গন্য হবে এবং আদালত বা অন্য কোন কতৃপক্ষের আইনানুগ কার্যক্রমের এখতিয়ার বহির্ভূত থাকবেন। অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরকে বাস্তুভিটা থেকে কোন ভাবেই উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু রতনে রতন চিনে, এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রিয় এবং গায়ের জোরে নিরীহ, সহজ সরল জনগনের বসতভিটা সম্পত্তি জবরদখলকারী হিসাবে সুপরিচিত বিমানবন্দর থানাধীন বিল্ববাড়ী গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে সোহেল আজাদ জমি দখল করতে হাত করে নিয়েছেন, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, কলা ফুলে বটগাছ, বটগাছ থেকে বটমূল ছড়ানো বটবৃক্ষ, রুটির কারিগর লাকুটিয়ার ভয়ংকর ভুমিদস্যু কবি রিপন হোসেনকে। তিনি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে গত রবিবার ভরদুপুরে, বৃদ্ধ থেকে বাচ্চা, গৃহবধু মারধর করে, রান্না করা খাবার ফেলে দিয়ে, পৈচাসিক কায়দায় নির্যাতন করে অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দেন। তারপর তাদের বসতঘরে লুটপাট, ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করেন। আদালতের আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাতে সামান্য দ্বিধাবোধ না করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশের সাইনবোর্ড সশস্ত্র ক্যাডার দিয়ে খুলে পাশ্ববর্তী খালে ফেলে দেন। চরম অসহায় হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েন অটোরিক্সা চালক সেলিম মৃধাসহ অপর দুই সহোদরের পরিবারের সদস্যরা। কবি নজরুলের অমোঘ কবিতা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন পুলিশ কর্তা তেমনি অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, ভূমিদস্যু কবি রিপনের দস্যু কবিতায় মুগ্ধ দুয়েক অসাধু পুলিশ কর্তা, তিনি যখন দখল ফিল্মী শর্ট নির্মান করতে ছিলেন তখন দুজন পুলিশ কর্তা দখল ফিল্ম শর্ট নির্বিঘœ করতে ঘটনাস্থলের অদূরেই প্রহরায় ছিলেন। অবশ্য পরে ঘটনাস্থলে বিমানবন্দর থানার পুলিশ এসে কিছু শান্ত পরিবেশ তৈরী করে। অটোরিক্সা চালক অসহায় সেলিম মৃধা আকুতি করে বলেন, ডাকাত রিপনের হাত থেকে আমার পরিবারের সদস্যদের বাচতে দিন, আমরা বাচতে চাই। রুটির কারিগর থেকে ভূমিদস্যু কবি রিপন হোসেনের ভূমিদস্যুতা নামক কাব্যের লোমহর্ষক বর্ননার বাকি অংশ থাকছে আগামী ৪ পর্বে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD