মঠবাড়িয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মঠবাড়িয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

মঠবাড়িয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান




মাসুদ রানা:পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা ইউনিয়নে বলেস্বর নদীর তীরে বলেস্বর বাজার সংলগ্ন অবস্থিত ৯৬নং খেতাছিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । শিক্ষক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। সব মিলিয়ে এখানকার শিশুরাও যুদ্ধ করেই দিন কাটাচ্ছে।

বিদ্যালয়ে তিন জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ছয় শ্রেণির পাঠদান। শিক্ষক না থাকায় লেখাপড়া হয় না বলে অনেক শিশুর পরিবারই তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠায় না। প্রতি বছরই এ বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রী কমছে । গত বছরের চেয়ে এ বছর শিক্ষার্থী দ্বি গুন বেশী ভর্তি হয়েছে। কেউ শিশু বয়সেই তাদের বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করে আবার অনেকে নদীতে মাছ শিকারে চলে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ করা হয়। গত পনেরো বছর ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য। চারজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষক আছে এ বিদ্যালয়ে। এই তিনজন দিয়েই প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে ।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আবুবকর,ছানাউল্লাহ,মীমসহ আরো অনেকে বলে, শিক্ষক না থাকায় আমাদের নিয়মিত ক্লাস হয় না।মাঝে মাঝে শিক্ষক অফিসের কাজ করে,অন্যদিকে একজন শিক্ষক দু’টি শ্রেণীতে একসঙ্গে ক্লাস নেন। তাই কোনো ক্লাসই ভালোভাবে হয় না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদ মোল্লা ও সহকারী শিক্ষিকা মোসা. মমতাজ বেগম, রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এক সময়ে একাধিক শ্রেণির পাঠদান থাকায় শিক্ষার্থীদের সময় ব্যাহত হচ্ছে।আমাদের মাঝেমাঝে অফিসের কাজ করতে হয়।তাই আমরা এক ক্লাস নিতে গেলে অন্য ক্লাস ফাঁকা থাকে। বাধ্য হয়েই আমাদের এক সঙ্গে দু’টি ক্লাস নিতে হয়।

তারা আরও বলেন, আমরা একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক দেওয়ার কথা বলেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো নিয়োগ হয় নাই।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃআবু সালেহ বলেন, অনেক বছর থেকেই বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD