রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলায় যৌতুক না দেয়ায় ফারজানা ইয়াসমিন মুক্তা নামের এক গৃহবধুকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।বুধবার (১মে) সকালে আহত গৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্বামী শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মুক্তার বাম পাশের চোখ মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ঘটানাটি ঘটে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে।
আহত মুক্তার স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের কাদের বেপারীর ছেলে শাকিল হোসেন এর সঙ্গে বিয়ে হয় ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ফখরুল ইসলামের মেয়ে ফরজানা ইয়াসমিন মুক্তার। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মুক্তার উপর নির্যাতন চালানো হতো। সর্বশেষ গত কয়েক দিন আগ থেকে ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো শাকিল।
মঙ্গলবার রাতে ফারজানা ইয়াসমিন মুক্তা শাকিলের দাবিকৃত টাকা বাবা বাড়ী থেকে আনতে অস্বীকার করলে শাকিল ও তার পরিবারের লোকজন অমানুষিক নির্যাতন চালায়।এক পর্যায়ে মুক্তাকে বেদম মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। পরে মুক্তার পরিবার খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ফারজানা ইয়াসমিন মুক্তা ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শাকিল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল ও তারা পিতা কাদের বেপারীকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply