রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের মুকুন্দিয়া গ্রামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে।ধর্ষণকারী লম্পট মিন্টু মীর (২৮) এর ধর্ষণের শিকার হয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ঐ তরুণী (২২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় ৮ মে বুধবার প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে মুকুন্দিয়া গ্রামের রওশন মীরের ছেলে মিন্টু মীর ও তার চাচাতো ভাই শাজাহান মীরের স্ত্রী বিউটি বেগম (৪০) কে আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই তরুণীর বোন বলেন, আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বোনকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো লম্পট মিন্টু মীর। আট মাস আগে একদিন বিকেল বেলায় মিন্টুর চাচাতো ভাবি বিউটি বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তিনি টিভি দেখার কথা বলে আমার বোনকে ডেকে তার একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদের সিঁড়ি ঘরে নিয়ে যায়। এরপর বিউটি মিন্টুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে আনে।তিনি বলেন, পরে বিউটির সহযোগিতায় মিন্টু মীর আমার বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর তারা আমার বোনকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন যে, কারো কাছে বললে মেরে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মিন্টু মীরের ধর্ষণের ফলে আমার বোন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে তার পেটের আকার বড় হতে থাকে। তখন আমরা ভেবেছিলাম ওর পেটে টিউমার হয়েছে। যার কারণে গত ৭ মে রাজবাড়ী শহরের নুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওর আল্ট্রাস্নোগ্রাম করানো হয়। আল্ট্রাস্নোগ্রাম রিপোর্টে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের জানান ওর পেটে ৮ মাসের ছেলে বাচ্চা রয়েছে। এ ঘটনার শোনার পর আমরা তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে ধর্ষণের ঘটনার কথা খুলে বলে। পরে ৮ তারিখে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীর মা জানান, আমার আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে অটোচালক মিন্টু তার চাচাতো ভাবির সহযোগিতায় ধর্ষণ করে। এখন মেয়েটি আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। মিন্টু আমাদের এমন সর্বনাশ করলো আবার উল্টো আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তরুণীর ছোট ভাই জানান, এই ঘটনায় মামলা করার পর থেকে ২নং আসামি বিউটি স্বামী সাজাহান মীর মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে। মামলা না উঠালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
স্থানীয় মো. আসলাম ব্যপারী জানান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে মেয়েটি খুবই ভালো। সে এলাকায় সবার কাছে প্রিয়। ওর মতো একটি অসহায় প্রতিবন্ধীর সাথে এমন কাজ করেছে মিন্টু। আমি তার শাস্তি দাবি করছি।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘মামলা দায়ের হবার পর থেকে মিন্টু মীর ও তার ভাবি বিউটি বেগম পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হলেও কথা বলতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply