বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ দেশের ২৬ জেলার প্রায় ৫০০ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৭ এপ্রিল কিছু ইউপিতে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
৭৬তম কমিশন সভায় এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে- ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে সিইসি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল কিছু সংখ্যক ইউপিতে ভোট করার একটা প্রস্তাবনা সচিবালয় থেকে করা হয়েছে। বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভা থেকে মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু নির্বাচন হতে হয় পূর্ববর্তী নির্বাচন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর সময় পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
এসব বিবেচনায় আগামী মে মাসে মেয়াদ শেষ হচ্ছে এমন সকল ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২৬টি জেলার ৪৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ এপ্রিল ও মে মাসের বিভিন্ন সময়ে শেষ হবে। আর ভোট করতে হবে তারও আগে।
রোজার কারণে সীমিত আকারে কিছু ইউপিতে আগেভাগেই ভোট করতে চায় কমিশন। এজন্য ৭ এপ্রিল ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
বৈঠকে যেসব ইউপির ভোট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে এগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার তিনটি, বাউফলের ছয়টি, দশমিনার তিনটি ও গলাচিপার ছয়টি ইউপি। বরিশাল সদর উপজেলার আটটি, বাকেরগঞ্জের ১১টি, উজিরপুরের ছয়টি, মুলাদীর ছয়টি, মেহেন্দিগঞ্জের পাঁচটি, বাবুগঞ্জের চারটি, গৌরনদীর সাতটি, হিজলার চারটি, আগৈলঝাড়ার ছয়টি ও বানারীপাড়ার সাতটি। বরগুনার সদরের নয়টি, আমতলীর ছয়টি, বেতাগীর সাতটি, বামনার চারটি ও পাথরঘাটার সাতটি। পিরোজপুরের সদরের চারটি, ভান্ডারিয়ার পাঁচটি, ইন্দুরকানির একটি, মঠবাড়িয়ার ছয়টি, নেছারাবাদের ১০টি, কাউখালীর দুইটি ও নাজিরপুরের চারটি। ঝালকাঠী সদরের নয়টি, নলছিটির ১০টি, রাজাপুরের ছয়টি ও কাঠালিয়ার ছয়টি। ভোলা সদরের দুইটি, দৌলতখানের পাঁচটি, বোরহানউদ্দিনের দুইটি, তজুমুদ্দিনের তিনটি ও চরফ্যাশনের সাতটি।
খুলনার ডুমুরিয়ার ১৪টি, কয়রার সাতটি, দাকোপের নয়টি, বটিয়াখাটার তিনটি ও দিঘলিয়ার ছয়টি। বাগেরহাটের সদরে নয়টি, ফকিরহাটের সাতটি, মোল্লাহাটের ছয়টি, চিতরমারীর সাতটি, কচুয়ার সাতটি, রামপালের ১০টি, মোংলার ছয়টি, মোড়েলগঞ্জের ১৬টি ও শরনখোলার চারটি। সাতক্ষীরা সদরের ১২টি, কলারোয়ার ১০টি, তালার ১১টি, দেবহাটার চারটি, কালীগঞ্জের ১২টি ও শ্যামনগরের সাতটি।
রংপুরের পীরগাছার একটি ও পীরগঞ্জের চারটি, কুড়িগ্রামের চররাজিবপুরের তিনটি, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের ছয়টি এবং বগুড়ার দুপচাচিয়ার একটি। ঢাকার দোহারের পাঁচটি ও কেরানীগঞ্জের সাতটি, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের আটটি, নরসিংদীর পলাশের দুইটি, গাজীপুরের কালীগঞ্জের সাতটি, টাঙ্গাইলের নাগপুরের ১১টি, মাদারীপুর সদরের আটটি ও শিবপুরের ১৩টি। মৌলভীবাজারের জুড়ির একটি, সুনামগঞ্জের ছাতকের ছয়টি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার একটি, চাঁদপুরের হাইমচরের একটি, লক্ষ্মীপুরের রামগতির দুইটি ও কমলনগরের তিনটি, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ছয়টি ও হাতিয়ার সাতটি, কক্সবাজারের পেকুয়ার একটি, মহেষখালীর তিনটি, কুতুবদিয়ার ছয়টি ও টেকনাফের পাঁচটি।
২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে দেশের চার হাজার ৩২১টিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ওই বছরের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫২টি ও একই বছরের ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, আগামী ২১ ও ৩০ মার্চের মধ্যে এ দুই ধাপের ভোট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান থাকায় মার্চে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনের সময় ৯০ দিন পর্যন্ত পেছানোর কথা জানিয়েছে ইসি।
Leave a Reply