শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ বানারীপাড়া উপজেলার ২২৬তম সূর্যপুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টায় সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে পুজা দিতে বরিশালের কয়েকটি উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্ববীরা উপস্থিত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে সূর্যমন্দিরের আঙ্গিনা ছাড়িয়ে পুজারিদের ভির আশেপাশের এলাকাকে মুখরিত করে তোলে। অন্যদিকে ভক্তদের জন্য প্রসাদ রান্না চলছিলো।
উল্লেখ্য পুজাঙ্গনটি বাংলাদেশ স্বাধীন হবার বহু বছর আগে থেকেই বেতাল গ্রামের জমিদার গঙ্গু সরকার পরিবারের পুর্ববর্তী সদস্যরা পরিচালনা করতেন।
একদিন জমিদার সরকার পরিবারের নিজস্ব চাষীরা মাঠে চাষ দিতে গেলে তাদের লাঙ্গলের ফলা আটকে যায় (বর্তমানে যেখানে সুর্যপুজা হয়) সেখানে। তারপর সেখানে খুঁড়ে ৪ ফুট উচ্চতা,২ ফুট প্রসস্ত একটি সুর্যাকৃতির মূর্তি পায়।
দিনটি ছিলো মাঘী পূর্নিমার শুক্লা তিথির সপ্তমী। ওই রাতেই গঙ্গু সরকারের মা মালতি রাণী সরকার স্বপ্ন দেখেন সুর্যপুজা দেওয়ার জন্য। সেই থেকে ওই স্থানে সুর্যপুজা দিচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পুজার দিন থেকে শুরু করে প্রথমে ৩তিন পরে আরও বেশিদিন এরপরে মাসব্যাপী সুর্যমণি মেলার আয়োজন করে আসছেন তারা।
এরপরে ১৯৭১ সালে দেশে যুদ্ধ শুরুর মূহুর্তে সরকার পরিবারে যারা বেঁচে ছিলেন তারা স্থানীয় ভট্টাচার্য পরিবারের কাছে পুজা দেবার অনুরোধ ও চেরাগ আলী মোল্লার পুর্ব পুরুষদের সনাতন ধর্মের (সংখ্যালঘু) পরিবারের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে নামমাত্র মুল্যে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিয়ে জন্মভূমি ত্যাগ করেন।
সেই থেকে মোল্লা পরিবার সনাতন ধর্মের মানুষদের পাশে থাকছেন নিঃস্বার্থভাবে। তবে কখনও তাদের বংশধররা সুর্যমণি মেলার আয়োজন কমিটিতে থাকেননি। এ বছরও মাসব্যপী মেলার আয়োজন করা হবে। তবে সরকারিভাবে অনুমতি পেলেই মেলার মুল কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি মাস্টার বাদল কৃষ্ণ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবলাল সাহা এবং ভট্টাচার্য পরিবারের পুরহিত কৃষ্ণ কান্ত ভট্টাচার্য।
তবে যারা সুর্যপুজা দিতে পারেননি তারা মেলা চলাকালীন যেকোন সময় পুজা দিতে পারবেন বলে জানান আয়োজকরা।
Leave a Reply