শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বরিশালে মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী নগরীর রূপাতলী থেকে দপদপিয়া ও কালিজিরা পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। তবে, কালিজরা বাজারের ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরাতে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত সড়কের দুপাশে বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট গড়ে তুলেছিল। এই এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখল করে ব্যবসায়ীরা স্থাপনা তৈরি করেন। পূর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি লিজ দেওয়া হলেও সময়মতো নবায়ন না করার কারণে এখন এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
বরিশাল শহরের রূপাতলী এলাকায় কিছু ব্যবসায়ী দাবি করছেন যে, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে এবং তারা পূর্ববর্তী সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকানগুলো নিয়েছেন। সেই সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর কোনো আঘাত আসেনি। তবে, বর্তমান সময়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে এসব স্থাপনা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই কারণে তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক ও বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর মহাসড়ক একমাত্র প্রধান সড়ক হওয়ায় এটি বেশিরভাগ সময় যানজটে আটকে থাকে। সড়কটি সরু হওয়ায় সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মহাসড়কটি দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সড়ক প্রশস্ত হবে, এ আশা তাদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, রূপাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে সাগরদী পুল পর্যন্ত সড়কের দুপাশে যেসব দোকানপাট ও স্থাপনা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল, তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিংও করা হয়েছে। অভিযানে বুলডোজার দিয়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি দোকানঘর ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আরও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সহযোগিতা করে।
Leave a Reply