বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি ! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি !

বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি !




বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেঁটে সুড়ঙ্গ খুড়ে মুন্সি ব্রিকসের মালামাল আনা নেয়া করছে ব্রিকস মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছাস হলে তলিয়ে যাবে গুলিশাখালী ইউনিয়ন এমন আশঙ্কা এলাকার ৬০ হাজার মানুষের।পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বদিউল আলম বাদল মুন্সি বাঁধ কেটেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জানাগেছে, ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়রা নদী ঘেষা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধ নির্মাণ করায় গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ সিডর, আইলা ও মহাসেনের মতো জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসে ৪৩/২এফ পোল্ডারের আঙ্গুলকাটা নামক স্থান দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মুন্সি ব্রিকসের মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেঁটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তার ব্রিকসের মালামাল আনা নেয়া করছে।

বাঁধের কাঁটা অংশের উপড়ে বিভিন্ন কাঠের গুড়ি ফেলে রেখেছেন তিনি। ওই কাঠের গুড়ির উপর দিয়ে এলাকার মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ জোয়ারের পানিতে এমনিতেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানিতে ছোঁয়া-ছো অবস্থায় থাকে। কোনো জলোচ্ছাস হলেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এলাকা তলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ। এছাড়াও লবন পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করে ব্রিকস মালিককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, আঙ্গুলকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেঁটে সুড়ঙ্গ খুড়ে মুন্সি ব্রিকসের মালামাল বাঁধের একপাশ থেকে অন্যপাশে আনা নেয়া করছে মজুররা। সুড়ঙ্গের উপড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। ওই গাছের গুঁড়ির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. নুরুল ইসলাম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করায় ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ হুমকির মুখে রয়েছে।

প্রকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছাস হলে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানাই।বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কারো কাটার অধিকার নেই। সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বেআইনিভাবে যিনি বাঁধ কেটেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD