সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দলীয় কোন্দলের জেরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানকে কুপিয়ে জখম করেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোমবার সন্ধ্যায় যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল সোহেল ৬৩ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবলীগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীর নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।
এ নিয়ে দুই গ্রুপ সোমবার বিকেলে পাল্টা-পাল্টি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশেযোগ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রানা মালকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সন্ধ্যার পর মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সমর্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগ অফিস ভাংচুর করে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, দলীয় কোন্দলের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতিসহ দু’জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সমর্থিত গ্রুপ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এ ঘটনার জেরে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে।
Leave a Reply