বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ ডাঙার কোনো অলিগলিতে নয়, সাগর মোহনায় দোকান! এ দোকান জলে ভাসে। ভেসে ভেসেই চলে বেচাকেনা। দিন গড়িয়ে রাত নামলেই জমে বেশি। কারণ রসদ ফুরালেই ভিড় জমায় সাগরের জেলেরা। মূলত: তারাই এ দোকানের মূল ক্রেতা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর ও কলাগাছিয়াচরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগর মোহনায় ভেসে চলে এই দোকান। সাগরে জেলেরা জানায়, একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের ভেতরে দোকানের সাজে সাজিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য বিক্রি করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে সমুদ্র মোহনায় ভাসমান দোকানের কার্যক্রম চলছে।
সাগর মোহনায় ভাসমান একটি ট্রলারে দোকান, দূর থেকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কাছে গিয়ে ট্রলারের ভেতরে ঢুকলে ভিন্ন চিত্র চোখে পড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই আছে সেই দোকানে। কি নেই সেখানে? চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, শুকনো খাবার থেকে শুরু করে সবকিছুই রয়েছে। আছে ওষুধপত্রও।
ভাসমান এই দোকানের ক্রেতা শুধু জেলেরাই নয়, নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ঘেরা সোনারচর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও আসেন এখানে। সম্প্রতি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে সোনারচর যাওয়ার পথেই চোখে পড়ে ভাসমান দোকানটি। এসময় দেখা যায়, দুই তিনটি ট্রলার নোঙর করে প্রয়োজনীয় রসদ কিনছে ভাসমান দোকান থেকে। এরমধ্যে দুইটি ট্রলার জেলেদের, আর একটি পর্যটকদের।
কথা হয় সাগরের জেলে শাহবুদ্দিন মোল্লা (৪০) সঙ্গে। তাদের ট্রলারের রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ভাসমান দোকানে এসেছেন। শাহবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘সাগরে নামার সময় সদাই কেনা লাগে। সাগরে থাকতেও সদাই লাগে। মাঝেমাঝে ত্যাল ফুরাইয়া যায়। কূলে আওন যায় না। তহন আমাগো এই দোকানই ভরসা।
সোনারচর ঘুরতে আসা পর্যটক একে এম রাকিব হোসাইন বলেন, ‘তাদের ট্রলারের তেল ও খাবার শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়েন তারা। জেলেদের কাছ সহযোগিতা চাইলে তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন, ভাসমান এই দোকানের খবর। পরে ভাসমান দোকানে এসে নায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে স্বস্তি মেলে তাদের।
ভাসমান এই দোকানের উদ্যোক্তা জিয়া ফরাজী বলেন, ‘সাগরে গিয়ে অনেকসময় জেলে ট্রলারের রসদ ফুরিয়ে যায়। তেল শেষ হয়ে যায়। তখন বিপদে পরে জেলেরা। তাই জেলেদের কথা ভেবে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘দোকানের মালামাল শেষ হয়ে গেলে চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারে ট্রলার নিয়ে গিয়ে মালামাল আনি।
Leave a Reply