সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ এসএসসি পাস। তার নেই মেডিকেল কলেজ পাসের সনদ। এমনকি নেই বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধনও। শুধু পল্লী চিকিৎসার ওপর একটি কোর্স করে নামের আগে ডাক্তার লিখে দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন।
এমন অভিযোগে বুধবার (৪ নভেম্বর) সুকুমার বৈদ্য (৫০) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মানিকগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি উপজেলার ধল্লা বাজারে ‘বৈদ্য মেডিকেল হল’ নামে একটি ফার্মেসির মালিক।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিঙ্গাইরের ধল্লা বাজারে ‘বৈদ্য মেডিকেল হল’ নামের একটি ওষুধের দোকান খুলে সুকুমার বৈদ্য দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসাসেবা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। এ জন্য রোগীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিতেন। চিকিৎসক না হয়েও ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় সম্প্রতি প্রতারণার শিকার কয়েকজন রোগী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের নির্দেশে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল ধল্লা বাজারে ওই ওষুধের দোকানে অভিযান চালান। এ সময় ওই যুবককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, রোগীর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ও বিএমডিসির নিবন্ধনযুক্ত হতে হবে। সুকুমারের এসবের কিছুই নেই। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না মর্মে তিনি মুচলেকাও দিয়েছেন।
Leave a Reply