নজরুলের আঙুল ফুলে কলাগাছ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নজরুলের আঙুল ফুলে কলাগাছ

নজরুলের আঙুল ফুলে কলাগাছ




আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি :
এ যেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।পাঁচ বছরে চা বিক্রেতা থেকে বনে গেলেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।সেই সঙ্গে তার ক্লিনিকে আসা রোগীদের ইসিজি করে রিপোর্ট দেন এই চা বিক্রেতা।বলছি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার চা বিক্রেতা নজরুল সন্যামতের কথা।আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে ‘সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ খুলে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান নজরুল।দীর্ঘদিন ভুল রিপোর্ট ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সোমবার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভুয়া টেকনোলজিস্ট দিয়ে পরিচালিত আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা।স্থানীয়রা জানায়,আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে সোমবার সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সিকদার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়।ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুটি চালুর পর থেকে সার্টিফিকেটধারী কোনো প্যাথলজিস্ট নেই।হাসপাতালের চিকিৎসকদের ম্যানেজ করে অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।স্থানীয় বাসিন্দা শামীম গাজী,রাকিব সরদারসহ অনেক রোগী বলেন,রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে ভুল রিপোর্ট দিয়েছে সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার।এতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের।রিপোর্ট মতো ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হয়নি।পরবর্তীতে অন্য হাসপাতালে পরীক্ষা করালে জানতে পারি আমাদের রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে।প্রতারণার শিকার শামীম গাজী বলেন,নজরুল সন্যামত পাঁচ বছর আগে হাসপাতালের সামনে চা বিক্রি করতেন।তিন বছর আগে নিজেই একটি ওষুধের দোকান দিয়ে বসেন।

পরের বছর ওষুধের দোকানের পেছনে একটি প্যাথলজি খুলে নিজেই প্যাথলজিস্ট হিসেবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয়া শুরু করেন।এখন সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নজরুল।হাসপাতালের চিকিৎসকরা জেনে-শুনে রোগীদের এখানে পাঠান। এদের সব রিপোর্ট ভুল।আমরা সহজ-সরল রোগীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।উপায় না পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছি।শামীম গাজী আরও বলেন,বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে আসার আগেই খবর পেয়ে তালা মেরে পালিয়ে যান ক্লিনিকে কর্মরতরা। এদিকে সোমবার স্থানীয়রা দুটি প্যাথলজি বন্ধ করে দিলেও মঙ্গলবার ডা.জ্যোতি রানী বিশ্বাস এক রোগীকে বন্ধ সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠান।সেখানে অদক্ষ নজরুল সন্যামত রোগীর ইসিজি করে রিপোর্ট দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জ্যোতি রানী বিশ্বাস বলেন,সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়া টেকনোলজিস্ট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে তা আমার জানা ছিল না।আমি না জেনে এক রোগীকে ওই ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম।এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ইউএইচএএফপিও চিকিৎসক আলতাফ হোসেন বলেন,আগৈলঝাড়ায় গড়ে ওঠা সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ।অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন,আমাদের হাত-পা বাঁধা। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য বার বার ইউএনও ও থানা পুলিশের ওসিকে বলা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD