তিন যুগ ধরেও অন্ধকারে সরকারি বীজাগার, দিশেহারা কৃষক Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




তিন যুগ ধরেও অন্ধকারে সরকারি বীজাগার, দিশেহারা কৃষক

তিন যুগ ধরেও অন্ধকারে সরকারি বীজাগার, দিশেহারা কৃষক




নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুর্যোগ মৌসুমে কৃষি বীজ সংকট মোকাবেলায় উন্নত মানের বীজ সংরক্ষণ ও কৃষককে কৃষিতথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছিল বীজাগার। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে গড়ে তোলা ৯টি বীজাগারই দীর্ঘ তিন যুগের বেশী সময় ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। অবকাঠামোর বেহালে বীজাগারগুলো কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কোনো কাজে লাগছে না। সেখানে কোনো কার্যক্রম নেই।

 

কৃষি পরিষেবার একটি জনগুরুত্বপূর্ন কার্যক্রমের এই হালে হতাশ কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের জন্য বীজাগার বা বীজকেন্দ্রগুলো গড়ে তোলা হয়। আপৎকালের জন্য বীজ সংরক্ষণে কৃষি তথ্য সেবার পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস ও আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এই কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। যাতে কৃষক কৃষি পরিষেবা সুবিধা তার দোরগোড়ায় পান।

 

কিন্তু নানা সংকটে এগুলো এখন অকার্যকর। গলাচিপায় ৯টি বীজ কেন্দ্র তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে অচল। সংস্কার না করায় বীজাগারের অতি পুরনো পাকা স্থাপনা বা অবকাঠামোগুলো ধসে পড়ার উপক্রম। কোনো কোনোটি ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে। সেখানে বীজ সংরক্ষন,কৃষি প্রযুক্তি সুরক্ষা ও কৃষি বিভাগের কোনো দাপ্তরিক কার্যক্রমই চলছে না। উপজেলার ঐ ৯টি কেন্দ্র হলো গলাচিপা ইউনিয়ন বীজাগার, আমখোলা ইউনিয়ন বীজাগার, গোলখালী ইউনিয়ন বীজাগার, ডাকুয়া ইউনিয়ন বীজাগার, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন বীজাগার, পানপট্টি ইউনিয়ন বীজাগার, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বীজাগার, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন গোডাউন দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বীজাগারঘিরে আছে জঙ্গল।

 

 

গলাচিপা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সফল কৃষক রহিম মীরা বলেন, এক সময় ইউনিয়ন বীজাগার থেকে কৃষকরা আপৎকালে মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করতেন। এসব বীজকেন্দ্র থেকে কৃষকরা কৃষি বিষয়ে নানা পরামর্শ সুবিধাও পেতেন। বর্তমানে কেন্দ্রগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই। অথচ কৃষির উন্নয়নে বীজাগার খুবই দরকারি। তিনি আরো বলেন,ইউনিয়ন বীজাগারগুলো চালু করলে কৃষি ও কৃষকের লাভ হবে।

 

উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান বলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বীজ সংরক্ষণ ও কৃষি তথ্যসেবার পাশাপাশি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য সিড হাউসগুলো (বীজাগার) গড়ে তোলা হয়েছিল। সংস্কার ও কার্যক্রম না থাকায় এ গুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে।

 

এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে গড়ে তোলা এসব বীজাগারের অবকাঠামো কয়েক যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে এখন পরিত্যক্ত। জনগুরুত্বপূর্ন এ অবকাঠামো সহ কার্যক্রমের বাস্তব অবস্থা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বীজাগার গুলো কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশমালা পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD