শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে এক যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বলেন শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র আরও জানায়, ওই সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলেন উপস্থিত নেতারা। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া, বিবাহিত ও জামায়াত-বিএনপি সংশ্লিষ্টদের পদায়ন করা, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে গিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের অপেক্ষা করা, সম্মেলনের দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে কমিটি দিতে না পারা ইত্যাদি।
জানা গেছে, সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের দুজন সিনিয়র নেতা তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শ দেন। এরপরও তারা গণভবন থেকে চলে যাননি। এটি দেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর তারা গণভবন ত্যাগ করেন।
ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১ বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ও কানাঘুষা রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন নিজেই বিবাহিত এমন অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা, অদক্ষতার অভিযোগও রয়েছে দুই জনের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply