আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া অবৈধ স্থাপণা নির্মাণের হিড়িক Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া অবৈধ স্থাপণা নির্মাণের হিড়িক

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া অবৈধ স্থাপণা নির্মাণের হিড়িক




কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি: আদালত ও জেলা প্রশাসক নিষেধাজ্ঞা অমান্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত লাগোয়া সরদার মার্কেট এবং সান রাইজ মার্কেটের নামে ঘর তোলার হিড়িক পড়েছে। এসব অবৈধ স্থাপণা তোলার কারনে সৈকতে পর্যটকদের নামা ওঠা এবং অবাধ চলাচল করার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অপর দিকে এসব স্থাপণা তোলায় সৈকতের পরিবেশের উপর মারাক্তক প্রভাব পরেছে। যেমন খুশি তেমন ভাবে তোলা হচ্ছে এ অবৈধ স্থাপণা গুলো। জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর সামনে এবং সৈকতের জিরো পয়েন্ট লাগোয়া এসব ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সাদা বালিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাছ থেকেও সান রাইজ কর্তৃপক্ষ তার রেকর্ডীয় জমি দাবি করে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান থেকে ভাড়া আদায় করছেন।

এসব ভাড়া আদায় নিয়ে সান রাইজ কর্র্তৃপক্ষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মাঝে প্রতিনিয়ত বাকবিধন্ডা,ঝগড়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে কুয়াকাটা পৌর মেয়র সান রাইজ কর্তৃপক্ষকে সর্তকও করে দিয়েছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ স্থাপণা তোলার হিরিক পড়লেও রহস্যজনক কারনে তারা নিরব রয়েছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতে নামতে সড়কের পশ্চিম পাশে সরদার মার্কেট কর্তৃপক্ষ এক অংশ পুর্বের টিনসেট ঘর ভেঙ্গে ২ ইঞ্চি এ্যাঙ্গেল দিয়ে ১৬ ফুট উচু করে ঝুকিঁ পূর্ণ ভাবে তৈরি করছে বিশাল দোতালা এই স্থাপণা। যেখানে থাকছে নিচে র্মাকেট উপরে রেষ্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল। সামান্য বাতাস এলেই ধসে পরে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ। অন্যদিকে সানরাইজ কর্তৃপক্ষও কাঠের একাধিক নতুন ঘর তুলছেন কোন বাধা ছাড়াই। এসব ঘর তুলতে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষ্য সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে স্থাণীয়দের।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিদিন সৈকতে আসা যাওয়া করলেও এসব অবৈধ স্থাপণা তোলার দৃশ্য তাদের নজরে আসছে না। সৈকতে এসব অবৈধ স্থাপণা তোলা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় লেখালেখির কারনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলেও অবৈধ স্থাপণা তোলার কাজ বন্ধ হয়নি।এসব অবৈধ স্থাপণা তোলা এবং ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর রহমান অবৈধ স্থাপণা নির্মানকারীদের সর্তক করেন কয়েকবার। এছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ভাড়া না দিতেও বলেন। তারপরও থেমে নেই।সরদার মার্কেটের সভাপতি মোঃ মাসুদ জানান, টিনের নরবড়ে ঘর তুলে তাদের কাছে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এর উপর আবার এ্যাংগেল দিয়ে দোতালা ঘর তুলে খাবার হোটেল ও আবাসিক হোটেল তোলা হচ্ছে। এ ঘর খুবই ঝুকিঁপুর্ণ। যে কোন সময়ে সামান্য বাতাসেই ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারেন তারা। মালিককে বলার পরও কর্ণপাত করছেন না তারা।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্বাস কাজী বলেন, সরদার মার্কেট ও সানরাইজ কর্তৃপক্ষ সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে ঘর তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে সৈকতের সাদাবালিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাজ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় করছেন। ভাড়া না দিতে চাইলে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছেন। সরদার মার্কেটের মালিক সাজেদুল আলম সাজু জানান, তারা অবৈধভাবে ঘর তুলছেন না। তাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন আদালতের এমন নির্দেশণা মেনেই তারা ঘর তুলছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। অবৈধ ভাবে কেউ স্থাপণা নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থলে থাকা একটি ব্যাগের মধ্য থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD