শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ঢাকার দোহারে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সামাজিক সালিশ বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময় সালিশে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এর মধ্যে সালিশে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২২ মে ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা এ সামাজিক সালিশ বসান। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ওই সালিশে লাভলু শিকদার নামে এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যিনি সালিশের দু’দিন পর করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ হন। সালিশের ওই জনসমাগম থেকে পুরো বিলাসপুরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, যারা সালিশে উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হোক, যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে।
এ বিষয়ে দোহার থানার নির্বাহী অফিসার আফরোজা আক্তার রিবা জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কোন চেয়ারম্যান বা মেম্বার জনসমাগম ঘটাতে পারে না।
অভিযুক্ত বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা জানান, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। ঘটনাটি আমি পরে জানতে পারি। জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল খাজার বাজারে যাই। এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করি। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
সালিশে উপস্থিত থাকা বিলাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মেম্বার জানান, এলাকার আক্কাস শিকদারের মসজিদের ইমামের সঙ্গে একটা ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য আমরা কয়েকজন বসেছিলাম। সালিশে উপস্থিত লাভলু শিকদার সালিশের দুই দিন পরে করোনা পজিটিভ হয়। তাই এই সালিশে যারা উপস্থিত ছিলেন, আমি সহ সবাইকে লকডাউনে থাকতে হবে।
তিনি জানান, এই সালিশের মাধ্যমে বিলাসপুরে করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই আমি চাই সালিশে আগত সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হোক।
Leave a Reply