শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছটি আবারো কেটে ফেলা হচ্ছে Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছটি আবারো কেটে ফেলা হচ্ছে

শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছটি আবারো কেটে ফেলা হচ্ছে




নিজস্ব প্রতিবেদক॥  বরিশাল নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের লক্ষাধীক টাকা মূল্যের সেই শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ পুনরায় কাটতে শুরু করেছেন শাওন খান ওরফে ডোস্ট শাওন। শনিবার বিকালে তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে ওই গাছের উপরে বিশাল অংশ কেটে ফেলেছেন। অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক ও দু’জন অফিস সহকারীর সহযোগিতায় কোন প্রকার টেন্ডার কার্যক্রম ছাড়াই গোপনে গাছটি কেটে ফেলা হচ্ছে। যদিও গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোস্ট শাওন। এমনকি ঘটনার খোঁজ খবর নিয়ে দেখার কথা বলে এড়িয়ে যান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নগরীর রূপাতলী ডোস্ট ফিলিং স্টেশনের মালিক শাওন ওরফে ডোস্ট শাওন গরিয়ারপাড় এলাকায় নতুন করে আরো একটি পেট্রোল পাম্প নির্মান করছেন। তবে ওই পাম্পে গাড়ি প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের শতবর্ষি রেইন্ট্রি গাছ। যে কারনে নিজের ব্যবসার স্বার্থে লক্ষাধীক টাকা মূল্যের শতবর্ষী ওই গাছটি কেটে ফেলতে শুরু করেন ডোস্ট শাওন। তৎকালিন সময় এ নিয়ে পত্রিকায় লেখা লেখি হলে নড়েচড়ে বসে সড়ক বিভাগ। কাজ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কথা বলেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে সরকারি ওই গাছটি কর্তনের কাজ কিছু দিন বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার ছুটির দিন বিকালে পুনরায় গাছ কাটা শুরু হয়। এসময় ওই স্থানে শাওন নিজেও উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটার দায়িত্বে থাকা কাশিপুর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা দুলাল তালুকদার বলেন, শাওন ভাই’র কথামত গাছ ব্যবসায়ী রিপন আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। আমি সহ ৫ জন লেবার দুপুর দুইটার পর থেকে গাছ কাটা শুরু করেছি। এজন্য আমাদের শ্রমিক প্রতি ৭শ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সড়ক ও জনপদ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী মিজান, খালেক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক রাজ্জাক এর সাথে শাওন ভাই’র কথা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী বরিশাল না থাকার সুযোগে গাছটি কেটে ফেলতে ওই তিন কর্মচারী সহযোগিতা করেছেন।

তবে ঘটনাস্থলে থাকা শাওন খান বলেন, কারা গাছ কাটছে সেটা আমার জানা নেই। এর আগেও ওরা গাছ কেটেছিলো তখনও আমার নাম পড়ে। কিন্তু আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। এমনকি গাছ কাটা শ্রমিক দুলালকে ডেকে এনে গাছ ব্যবসায়ী রিপনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে নিজেকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করেন শাওন। তখন রিপন উল্টো গাছ কাটার জন্য শাওন খানকেই দায়ি করেন।

এ প্রসঙ্গে নগরীর কাশিপুর চৌমাথা এলাকার হোটেল ও গাছ ব্যবসায়ী রিপন তালুকদার বলেন, শাওন খানই আমাকে গাছ কাটার জন্য চুক্তি করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করে দায় এড়িয়ে গেলে আমার কি করনীয় আছে। তাছাড়া তারা টাকাওয়ালা লোক। তারা যদি একটা কথা বলে আবার অস্বীকার করে তবে আমাদের কি বলার থাকে।

তিনি বলেন, শাওন খান ইতিপূর্বে আরো একবার গাছটি কাটার চেষ্টা করে। শুনেছি এজন্য তিনি সড়ক বিভাগে একটি লিখিত আবেদনও করেছে। কিন্তু সেখান থেকে গাছ কাটার জন্য তাকে কোন অনুমতি দেয়নি। সে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে গাছ কাটার চেষ্টা করে। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হলে তার সেই প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়।

রিপন বলেন, মাঝখানে কাজ বন্ধ হয়ে যাবার কারনে শাওন খান রাজনৈতিক তদবির খাটিয়ে গাছটি কাটার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দিক থেকে কোন সাড়া না পেয়ে শাওন পুনরায় অবৈধভাবে লক্ষাধীক টাকার গাছ কাটার মিশন শুরু করে বলে জানিয়েছেন রিপন।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, শাওন খানকে গাছ কাটার বিষয়ে সহযোগিতা করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দুই অফিস সহকারী খালেক, মিজান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক আব্দুর রাজ্জাক। বিনিময়ে তারা শাওন খানের থেকে মোটা অংকের অর্থ উৎকোচ পেয়েছে। যদিও পুরো বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলের নখদর্পনে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে খোজ নিয়ে জানাগেছে, প্রথম ঘটনায় থানায় মামলা করার কথা ছিলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি রহস্যজনক কারনে আইনী প্রক্রিয়ায় জাননি। তার রহস্যজনক ভুমিকার কারনে দ্বিতীয়বার লক্ষাধীক টাকা মূল্যের ওই গাছটি’র বিশাল অংশ কেটে ফেলেছে শাওন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি নির্বাহী প্রকৌশলী। বরং একাধিকবার ফোন দেয়ার পরে একবার রিসিভ করলেও বিষয়টি দেখছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD