সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লকডাউন এড়াতে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই পাড়ি দিচ্ছেন পথ। প্রাইভেটকার, পিকাপভ্যান, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এমনকি রিকশাভ্যানেও ছুটছে মানুষ।
এজন্য ভাড়া গুণতে হচ্ছে তিন/চারগুণ বা তারও বেশি। ঘরে ফেরার জন্য ঢাকার রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। পথিমধ্যে মহাসড়কে গাড়ির চাপে ভয়াবহ যানজট। প্রচন্ড গরমে দুঃসহ যন্ত্রণা আর ভোগান্তি। তারপরেও ছুটছে মানুষ। এ যেন ঈদযাত্রা।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য আজ থেকে কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। প্রথম দফায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করার কথা রয়েছে। আর এমন বন্দিদশা যেন মানতেই নারাজ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমজীবীরা। তাই যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ঢাকা ছেড়েছে। যানবাহনের ভিড়ে ঢাকার প্রবশেপথসহ সবগুলো মহাসড়কে ভিড় আর যানজট। প্রথম দফায় ঢিলেঢালা লকডাউনের আওতায় সব কিছুই খুলে দেয়া হলেও বন্ধই ছিল দূরপাল্লার বাস। সে কারণে ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত যানবাহনে করে গ্রামের বাড়ি দিকে ছুটেছে মানুষ।
গতকাল সকাল থেকে ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। অনেকটা ঈদের ছুটির মতো যানবাহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করেছে।সরকারি-বেসরকারী বাস ও লঞ্চ-স্টিমার সহ সব ধরনের শ পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ঝুকি নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন সাধারণ মানুষ।
পটুয়াখালী ও বরগুনা থেকে বরিশাল হয়ে গত কয়েকদিন ধরে ছোট-বড় থ্রী-হুইলারে অগনিত নারী-পুরুষ ও শিশু মাওয়া থেকে বিভিন্ন উপায়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায়। অনরূপভাবেই ঢাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বরিশাল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছেছে। এমনিক বিপুল সংখ্যক অবৈধ মাইক্রোবাসও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাওয়া থেকে বরিশালে যাত্রী পরিবহন করেছে। আবার মাওয়া থেকেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অবৈধ যনবাহনে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাট-বাজার সহ সব ধরনের দোকানপাটেই ভিড় ছিল লক্ষনীয় মাত্রায় বেশী। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার জন্যও ছিল লম্বা লাইন। এমনকি এ অঞ্চলের সবগুলো এটিএম বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকেও গ্রাহকদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
Leave a Reply