শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া আক্তার (১৪) মৃত্যুর কারন জানতে এবং জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত সিনথিয়ার মা আসমা বেগম শহরের একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সিনথিয়া আক্তার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসমা বেগম জানান, গত বছরের ২৪ আগষ্ট তার ছোট মেয়ে সিনথিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার স্বজনরা। সেই সময়ে আমি চাকুরির সুবাদে ঢাকায় ছিলাম এবং সিনথিয়া তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকার মহারাজ তালুকদারের ছেলে রাকিব তালুকদারের সাথে আমার প্রেমের ও শাররিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রাকিব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মানসিক নির্যাতন শুরু করতো। কিন্তু সে কিভাবে মারা গেলো তা আজও জানতে পারিনি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছেলো নাকি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সিনথিয়া আত্মহত্যা করলো তা জানতে পারিনি। রাকিবের কারনেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এ মৃত্যুর দায় সে কোনভাবেই এড়াতে পারে না। আমার মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রাজাপুর থানার এস আই হেলাল আমার মেয়ের স্কুলে গিয়ে মেয়ের সহপাঠিদের এবং আমার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং তাদেরকে ভয় ভিতি দেখায়।
২৪ আগষ্ট রাতেই রাজাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয় এবং সেই মামলার তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এস আই রফিককে। এস আই রফিক আমার মেয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আনার জন্য ৭ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে আমার কাছে। পরবর্তীতে আমার মেয়ে সিনথিয়ার বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু স্যারতে দিয়ে ডেকে রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনে অভিযুক্তদের পক্ষে ইন্দ্রপাশার নান্নু হাওলাদার টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসার আফার দেয়। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিলে বলে ছোট মেয়ের ভাল চাইলে চুপচাপ থাকতে। গত ১ বছর যাবৎ আমি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর জন্য এসআই রফিকের কাছে বার বার বললেও তিনি কোনো পাত্তা না দিয়ে উল্টো আমাকে গালমন্দ করে। এখন পুলিশ প্রশাসেনর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারন উদঘাটন করে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছেন আসমা বেগম।
রাজাপুর থানার এসআই হেলাল জানান, তৎকালীন ওসি পুলক চন্দ্র রায়ের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ওই ছাত্রীর বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করি আমি। এ কারনে ওই ছাত্রীর মা আমাকে দিয়ে মৃত্যুর কারন ও অপমৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করার দাবি করেছিলো। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্তবার এসআই রফিক পাওয়ায় আসমা বেগম এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতেছে।
রাজাপুর থানার এসআই রফিক টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এসেছে। যার অনুলিপি ওই ছাত্রীর মাকে নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply