রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: চাচা আমাকে ভালো চাকরির কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রুমে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ আমাকে ৪০ দিন পর উদ্ধার করেছে বলে রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে অপহৃতা এক তরুণী (১৩)।বুধবার বিকেলে ওই তরুণী রাজবাড়ীর আদালতে ম্যাজিস্টেটের কাছে ১৬৪ ধারায় নির্যাতনের এই বর্ণনা দিয়েছে। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামের ইউসুফ মোল্যার ছেলে মাসুদ মোল্যা তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে (১৩)-কে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
গত ৫ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে অটোতে তুলে নিয়ে যায়। তাকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করছে বলে গত ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে ওই তরুণী তার বাবাকে জানায়। তার বাবা বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৮ এপ্রিল মামলা করেন। বিচারক মামলাটি রেকর্ডের জন্য বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
তিনি আরো জানান, গত ৪ মে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অপহৃতা তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখি। ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধারসহ বুধবার তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি রাজবাড়ী আদালতের ম্যাজিস্ট্রের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দীতে সে জানায়, তার চাচা ভালো বেতনে ঢাকায় চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আসামি মাসুদ মোল্যাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
Leave a Reply