বিয়ের দাবিতে বাউফলে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ! Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বিয়ের দাবিতে বাউফলে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন !

বিয়ের দাবিতে বাউফলে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন !




পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী(১৮)। অনশনের সময় প্রেমিকের পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ অনশনরত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের বাজেমহল গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের আবুল বশারের মেয়ে কেশবপুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী লিজা আক্তার ছনিয়ার (১৮) সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আক্কেল গাজির ছেলে সুমন গাজির দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলে আসছিল।সাংবাদিকদের কাছে লিজা আক্তার জানান, ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল গোপনে দুইজন কুরআন শরীফ সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন এবং উভয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করে আসছেন। অন্তঃসত্ত্বার ভয়ে তাকে জন্মনিরোধক ওষুধও খাওয়ানো হতো। গত ২১ ফেব্রুয়ারি লিজা সামাজিকভাবে তাকে বিয়ে করার জন্য সুমনকে চাপ দিলে সমুন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করা হলেও সুমনের পরিবার রাজি হয়নি। এর প্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি লিজা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুমনের ঘরে গিয়ে উঠে। এ সময় সুমনের মা ফজিলাত বেগম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লিজাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা লিজাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। দুই দিনেও কোন ফয়সালা না পেয়ে লিজা রবিবার পুনরায় সুমনের বাড়ি গিয়ে উঠানে শুয়ে অনশন শুরু করে। এ খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিজাকে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দেন এবং কেশবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে করা অভিযোগের ভিত্তিতে ফয়সালা করার তাগিদ দেন।এ ব্যাপারে সুমনের মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সুমনের পরিবারের থেকে সাংবাদিকদের জানান, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং সাজানো নাটক। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছে।স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন লাভলু জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD