বরিশালের হিজলায় জব্দ ট্রলারটি নৌ পুলিশের ভুয়া মাঝি কাদেরের Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালের হিজলায় জব্দ ট্রলারটি নৌ পুলিশের ভুয়া মাঝি কাদেরের

বরিশালের হিজলায় জব্দ ট্রলারটি নৌ পুলিশের ভুয়া মাঝি কাদেরের




হিজলা প্রতিনিধি॥  বরিশালের হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়িতে জব্দ থাকা ২ টি ট্রলারের মধ্য একটি ট্রলার, মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌপুলিশের ভুয়া মাঝি সেজে থাকা কাদের জমদ্দার ওরফে কাদের মাঝির বলে জানা গিয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার মৃত- মজিব জমদ্দারের ছেলে এই কাদের মাঝি। ধুরন্ধর এই কাদের মাঝি নিজেকে নৌপুলিশের মাঝি পরিচয়ের আড়ালে জাটকা ইলিশ এবং মা ইলিশের সময় রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যায়। জাটকা ইলিশের এই অভিযান চলাকালে তার ট্রলারে জাটকা বহন করা হতো।

এদের একটি সক্রিয় দল রয়েছে। এই দলে ব্যবসা করে মেমানিয়ার জামাল সরদার, চুন্নু, জসিম এবং হিজলার টুলু। এই ব্যবসায়ীদের সাথে নৌপুলিশের খুব সখ্যতা রয়েছে। কাদের নিজেকে নৌপুলিশের মাঝি পরিচয় দিয়ে তার ট্রলারে মাঝরাতে জাটকা বহন করে নিয়ে যায় শরিয়তপুরের গোসাইয়ের হাট, কালকিনির মিয়ার হাট সহ বিভিন্ন স্থানে।

তবে শরিয়তপুর এলাকায় এই ব্যবসায় জরিত ব্যক্তির নাম বক্কা। বক্কার বাড়ি হিজলাতে। গেলো মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে, বক্কাকে বেশ কয়েক বার গোপন বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল, হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ইনচার্জ শেখ বেলাল এর রুমে। শুধু তাই না, যখনই মা ইলিশ, জাল, ট্রলার এবং আসামী ফাঁড়িতে আনা হতো, সাথে সাথেই বক্কা উপস্থিত হতো হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়িতে। সাধারণ ভাবে দেখে মনে হতো বক্কা নৌপুলিশের সদস্য।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শনিবার রাতে হিজলা গৌরব্দি ইউনিয়নের সাওরা সৈয়দখালি এলাকা থেকে ৫০ মণ জাটকা, ১১ জন আসমী সহ ২ টি ট্রলার জব্দ করে ছিলো হিজলা নৌপুলিশ সদস্যরা। ট্রলার দুটি হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। সেই ট্রলারের একটি হলো, কালিগঞ্জ নৌপুলিশের ভুয়া মাঝি কাদেরের। ট্রলারটি যে, কাদেরর এটা সে স্বীকার করেছে।

তবে সে নৌপুলিশের মাঝি কি না জানতে চাইলে অন্য জবাব দেয়। কাদেরের ব্যাপারে জানতে চাইলে, কালিগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস,আই আঃ রাজ্জাক ” ” জানান, কাদের একজন ধুরন্ধর লোক। সে মাঝির দায়িত্ব নিতে কয়েক বার ফাঁড়িতে এসেছিলো। আমি তাকে পাত্তা দেইনি। তবে তাদের মাঝির নাম শাহে আলম বলে তিনি জানান।

অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে , নৌপুলিশ শাহে আলম মাঝির নাম বললেও, সবাইকে ম্যানেজ করে নদী শাসনের কাজটি করে থাকে কাদের মাঝি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD