সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধি॥ বরিশালের মুলাদী উপজেলার বন্দর এলাকায় দু’দলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন।বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষের ধারালো অস্ত্রের মহড়ায় বন্দরে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উভয়পক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে বিরোধের সূত্রপাত হয় ব্যক্তিগত প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বন্দরের বিখ্যাত পরিচিত মিষ্টির দোকান ‘মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডার’। হামলার কারণ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক আব্দুর মজিদ রাঢ়ি জানান, পাশ্ববর্তী এলাকার গনি হাওলাদারের ছেলে বাপ্পী হাওলাদার তার দোকান থেকে বিভিন্ন সময় বাকিতে মিষ্টি ও নাস্তা নিলে তার কাছে প্রায় দেড় হাজার টাকা পাওনা হয়। বুধবার বিকালে বাপ্পী তার বন্ধুদের নিয়ে নাস্তা করে টাকা না দিয়ে বের হতে চাইলে দোকান মালিকের ছেলে আসাদুল হক আসাদ বাধা দেয় এবং আগের টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে বাপ্পী ও মিজান হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় বন্দরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা আসাদসহ দোকানের কর্মচারী মো. সেলিম, নূরুল ইসলাম, জানে আলম, রাজ্জাক, ইব্রাহীম, মিজান সিকদার, ইলিয়াস ফকিরকে পিটিয়ে আহত করে।
খবর পেয়ে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অপরদিকে বাপ্পী হাওলাদার দাবি করেন, মজিদ রাঢ়ী মুলাদী বাঁধের ওপর সরকারি জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করছে। ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় মজিদ রাঢ়ীর লোকজন হামলা করলে তিনিসহ দুজন আহত হন।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান জানান, দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Leave a Reply