শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশালের রাজনীতিতে আফতাব হোসেন’র প্রভাব অস্বীকার করা যাবেনা, মালিক সমিতির সভাপতির পদ থেকে সে যতই পদত্যাগ করুক- বরিশালের পর্যবেক্ষক মহলদের এমন অভিমত। তাদের মতে, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই এবং সব বলেও কিছু নেই, রাজনীতি মানেই জনসম্পৃক্ততা, ক্ষমতা ও গনতন্ত্রের চর্চ্চা- স্বৈরতন্ত্রের চর্চ্চাও হয় রাজনীতির দ্বারা, আজকের স্বদেশী কালকে দেশদ্রোহী হতে পারে রাজনীতির ছকে, রাজনীতি এক স্বৈরাচারকে সরায় আর এক স্বৈরাচার দ্বারা, এক জননেতাকে আর এক জননেতা দ্বারা হেয় করে।
তাই চলমান সময়ের দিকে চোখ রেখে রাজনীতি তার কর্মসূচী নির্মান করে এবং প্রতি মুহর্তে সে সব বদলায় পরিবেশের প্রভাব, পরিস্থিতির চাহিদায়।
রাজনীতি শুধু রাজনীতিবিদদের দিয়ে সম্পূর্ন হয়না, বিভিন্ন পেশাজীবি ট্রেড ইউনিয়নিষ্ট, জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসক রাজনীতির প্রভাবশালী নিয়ামক।
মুল ধারার রাজনীতির বাইরে এ সব গুনও আফতাব হোসেন’র রয়েছে। সে বিচারে অবশ্যই সে একটা রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তি।
বিভিন্ন প্রভাব বিস্তারের দ্বারা কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা বা দমন করে রেখে সেই শক্তিকে অস্বীকার করা যায়না, উপেক্ষা করা যায়, আওয়ামী লীগের এখন দুই ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নেবার সময়। উন্নয়নের এবং রাষ্ট্রনীতি-সমাজনীতি বিষয়ক, উভয়ক্ষেত্রে আফতাব হোসেনে’র রয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা।
যার অনেক কিছুই অধ্যয়নজনিত অনুশীলন প্রসূত। এর যে কোন একটি দূর্বল হলে তৎক্ষনাৎ আওয়ামী লীগ সেই অংশে দূর্বল হবে।
বরিশালের অনেক রাজনীতিবিদের থেকেও আফতাব হোসেন অগ্রগন্য , বলা হয়ে থাকে রাজনীতি বোঝার বিষয় করার বিষয় নয়, যার জন্য দেখা যায়, সমাজের যারা রাজনীতি বোঝে তারা রাজনীতি করেনা যারা রাজনীতি করে তারা বোঝেনা তেমন।
একটা কথা সর্বজনবিদিত যে, আফতাব হোসেন কোন ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই ভূঁইফোড় নয়। কিন্তু সমস্যা, পরিবেশের প্রভাব এবং পরিস্থিতিজনিত চাহিদার জটিলতায় প্রায়শঃই মানুষ নিজের অধিকার এবং কতৃর্ত্বের মাত্রাটার সীমারেখা ভুলে যায়, বা মনে রাখার চেষ্টা করেনা।
কোন কোন মহলের মতে, একজন তখনই ভুল করে যখন অপরজন নির্ভুল থাকে। দীর্ঘ বছরে আফতাব হোসেন কোথাও গায়ে মানে না আপনি মোড়ল সাজেনি, নিজে জমিন তৈরী করেছে নয়তো সংস্কার করেছে, সেখানে আবাদী জমি আর ফুলবাগানের জমি নিয়ে বৃহত্তর রং-বেরং’এর বিরোধে কত উজির-নাজির সমাজে আকছারই ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে তিনিতো সামান্য লোক।
অধিকার এবং কর্তৃত্বের প্রশ্নে সৃষ্ট এক ধরনের রাজনৈতিক-সামাজিক জটিলতার শিকার তিনি হতেই পারেন, রাজনীতিতে চড়াই-উৎড়াইতো থাকবেই, অনেক সমাধানের মধ্যে মানুষের একটা সমস্যা, শত্রু না থাকলে মানুষ শেষ পর্যন্ত শত্রু সৃষ্টি করে নচেৎ নিজেই নিজের শত্রু হয়ে দাড়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ।
অতএব বলা যায় আগামীতে আওয়ামী লীগকে অনেক অমসৃন পাথুরে পথ পাড়ি দিতে হবে, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এবং মিত্ররা কোন উন্নয়নই চাইবেনা। আর দশটা জেলা কিংবা বিভাগীয় শহর এবং বরিশাল এক কথা নয়, বিগত আড়াইশত বছরে যদি বাংলার একটা জেলার নাম উঠে আসে রাজনৈতিক-সামাজিক সংগ্রামের অঞ্চল হিসাবে সেটা হবে বরিশাল এবং তা হবে ঐতিহাসিকতা-চলমানতার যোগসূত্রে।
সে হিসাবে বরিশালে আওয়ামী লীগকে এবং তার মিত্রদের সংহত করা কিংবা মিত্র সৃষ্টি করা জরুরী, সেখানে আফতাব হোসেন‘র মত একজন সামাজিক -রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে দমন করার চিন্তা নির্বুদ্ধিতাএবং উপেক্ষা করার চিন্তা অবিবেচনা বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা।
Leave a Reply