শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
শামীম আহমেদ॥ বর্ধিত ওয়ার্ড হিসাবে নাগরীক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৩ নং ওর্য়াড এর সাধারন জনগন। কাউন্সিলর আসে ,কাউন্সিলর যায় নাগরীক সুবিধা বলতে কি আছে তা এ অঞ্চলের বাসীন্ধারা আদো জানেনা। তাই হিসাব কষছে সাধারন ভোটাররা। আসন্ন সিটি নির্বাচন কে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসছে স্থানীয় বাসীন্ধারা। আর আশ্বাসে কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন অত্র অঞ্চলের সাধারন ভোটাররা।
এরইধারাবাহিকতায় নগরীর ৩ নং ওর্য়াডে গাউয়াসার,কাউনিয়া হাউজিং,সোনিয়া মসজীদ এলাকা রাস্তাঘাট,ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনান্য যে কোন ওর্য়াডের চেয়ে করুন অবস্থা। এর কারন হিসাবে সাধারন ভোটাররা দুষছেন গত দুই টার্ম বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা কাউন্সিলর হিসাবে নিবার্চীত হয়ে তেমন কোন দৃশ্যমান কাজ করেনি উপরোক্ত এলাকায়।
ফলে বর্ষা মৌসুমে গাউয়াসার,সোনিয়া মসজীদ,কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দূভোর্গ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। ফলে একটু বর্ষা হলেই অত্র অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে হাটু জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাছারা গাউয়াসার রাজ্জাকিয়া মাদ্রাসা মাদানী সড়ক থেকে রোকেয়া আজিম সংযোগ সড়কটি না হওয়ায় অবর্নীয় কষ্টে দিনাতিপাত করছে নতুন নতুন বাড়িঘড় হওয়া স্থানীয় বাসিন্ধারা। কোমর সমান পানিতে কাপড় জাগিয়ে তাদের প্রধান সড়কে উঠতে হয়্ । কাউন্সিলরদের জানালে তারা জানায়,তারা প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ পায় না।তাই তারা কাজ করতে পারছে না।
ইতিমধ্যে অত্র ওয়ার্ডে নিবাচর্নী প্রচার প্রচারনায় জমে উঠেছে।প্রার্থীরা ভোটারের দ্বারে দ্বারে রাত দিন ছুটে বেড়াচ্ছে। এদিকে পূর্বের হিসাব নিকাস মিলিয়ে নিতে এ ওর্য়াডের ভোটাররা নড়েচড়ে বসছেন ।অভিযোগ রয়েছে গত পাচঁ বছরে পুরানপাড়া,মতাশায় যত রাস্তাঘাট হয়েছে তার সামান্য কিছু গাউয়াসারে দৃশ্যমান হয়নি।
জানাগেছে, ৩ নং ওর্য়াডের পুরানপাড়ায় ৩ হাজার ৮ শত ,গাউয়াসারে প্রায় ৩ হাজার ৩ শত ,মতাশায় ১ হাজার ৫ শত ভোটার থাকলে ও অবহেলায় গাউয়াসারবাসী।কারন গত কয়েক টার্ম নির্বাচীত কাউন্সিলররা পুরানপাড়ার বাসিন্ধা হওয়ায় উন্নয়ন যা হওয়ার সে দিকে হয়েছে। অন্যদিকে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছে গাউয়াসারবাসী।
এ ব্যাপারে আলাপকালে গাউয়াসার এর একাধীক বাসীন্ধা জানায়,জোড়মসজীদ থেকে নগরের পোল ৪ শত গজ হবে।যা বিগত দশ বছরের এই সড়কটির সংস্কার এবং কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়নি।
আলাপকালে ৩ নং ওর্য়াডের বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান ফারুক বলেন,আমার সময় প্রায় ৪৭ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমি আমার সাধ্য মতো কাজ করেছি।তার মধ্যে এখন ও কিছু কাজ চলছে। গাউয়াসার প্রধান সড়কের ড্রেনের কাজটি পাশ হয়ে আছে। অচীরেই হয়ে যাবে।অভিযোগ রয়েছে আপনার নিজের এলাকা পুরানপাড়া.মতাশায় ব্যাপক কাজ হলে গাউয়াসার,সোনিয়া মসজীদ এলাকায় কাজ হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি অস্বীকার করেন।
আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান জুয়েল বলেন আমি কাউন্সিলর নির্বাচীত হলে অবহেলীত গাউয়াসার,সোনিয়া মসজীদ সহ ৩ নং ওয়ার্ডে এর বিভিন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ,রাস্তাঘাট,প্রাইমেরী বিদ্যালয় স্থাপন সহ অত্র অঞ্চল মাদকমুক্ত রাখবো।
অন্য প্রার্থী মোঃ মজিবর রহমান মৃধা জানালেন আমি নির্বাচীত হলে ৩ নং ওর্য়াডের গাউয়াসার,সোনিয়া মসজীদ এলাকার প্রধান দাবী রাস্থাঘাট,ড্রেন সবার আগে করবো।তাছারা অত্র এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। যদি স্থানীয় জনগন আমাকে সহযোগীতা করে তা হলে আমি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান করবো এবং মাদকমুক্ত এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো।
৩ নং ওর্য়াড এর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড,ফিরোজ বলেন, ৩নং ওয়ার্ড সত্যি অবহেলীত।
এখানে উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। যতটুক রাস্তাঘাট তা সাবেক মরহুম মেয়র এ্যাড.হিরনের সময় করা।তাই উন্নয়নের জন্য নৌকার বিকল্প নেই। সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচীত হলে এইওর্য়াডের রাস্তাঘাট,ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে।
Leave a Reply