বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ভূমিদস্যুতা আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আতংকের জনপদে পরিনত হয়েছে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানার আওতাধীন চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া এলাকা। ভূমি দস্যুতার চরম আস্ফালনে হঠাৎ করেই এ উত্ত্যপ্তকর পরিস্থিতির তৈরী হয়েছে। যার নের্তৃত্ব দিচ্ছে জামাল শরীফ সহ তাদের সহযোগীরা।
অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলে নিতে এলাকায় দিন দুপুরে মানুষ কুপিয়ে জখম করছে তারা। থানা পুলিশ তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে পেশী শক্তির মহড়া।
এই বাহিনীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে আজমল মীর নামের একজন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জামাল শরীফ গংদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারনার ঘটেছে।
ভুক্তভোগী মীর আল আমিন নামক এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে কাউনিয়ার সাপানিয়া এলাকায় বাদী ছোট ভাই হাদিস মীর চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামের মোঃ নুরে আলমের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু বিবাদী জামাল শরীফ ওই জমি অহেতুক ভাবে নিজের বলে দাবী করে।
গত ১৬ মে জমির মালিক ভবন নির্মান সামগ্রী রাখতে গেলে জামাল শরীফ ও তার লোকজন বাধা প্রদান করে। এর প্রতিবাদ করলে গেলে এক পর্যায়ে বাদী আলামিন মীর কে মারধর শুরু করে শরীফ গংরা।
ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বড় ভাই আজমল মীরকে কুপিয়ে জখম করে জামাল শরীফ সহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা।
জামাল শরীফ মুলাদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার পদে চাকুরীরত। ভূমিদস্যু তাই তার নেশা পেশা।
এদিকে জানা যায় যে, কাউনিয়া থনার আওতাধীন সাপানিয়া এলাকার নুর আলমের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন হাদিস মীর। জামাল শরীফ নুর আলমের কোন আত্নীয় হন না ।
নূর-ই-আলম তার জমি জামাল শরীফ কে না জানিয়ে হাদিস মীর এর কাছে বিক্রয় করে। এতে জামাল শরীফের স্বার্থ হাসিলে ব্যাঘাত ঘটে। এরপর থেকে জামাল শরীফ নূরে আলম কে বাদ দিয়ে ক্রয় কৃত জমির মালিক হাদিস মীরের পরিবারের সাথে জুলুম অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।যাতে জামালকে মোটা অংকের একটা উৎকোচ দেওয়া হয় সেজন্য জামাল ও তার সহযোগীরা ভূমিদস্যুতা চালায়।
এদিকে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করতে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে ২০১৮ সালে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলো জামাল শরীফ। আদালতের নির্দেশে যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেখে অতিরিক্ত বরিশাল জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জামাল শরীফের মামলা খারিজ করে দেয় এবং তারিকুল ইসলাম হাদিস মীর জমিতে ভোগ দখলসহ থাকার পক্ষে রায় দেন, পাশাপাশি অফিসার্স ইনচার্জ কাউনিয়া থানা কে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেখভাল করার জন্য নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ আজমল করিম কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারিকুল ইসলাম হাদিস মীরের ক্রয় করা জমি প্রতিপক্ষ জামাল শরীফ দখল চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় হাদিস মীরের দুই ভাইকে হামলা চালিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এজাহার ভুক্ত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জমির মালিক হাদিস মীর বলেন বৈধ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জমি ক্রয় করি এবং যা দখলেও রয়েছে। সেই জমি কেউ মালিকানা দাবী করলে তা ভুমিদস্যুতা ছাড়া আর কিছুই না। তার পরও আইনের দরজা সবার জন্য খোলা আছে। প্রতিপক্ষরা আমার ভাইদের কে হত্যার চেষ্টায় মারধর করেছে আবার ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে নানা অপ প্রচারও করছে।
Leave a Reply