রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ সিগারেট কিনে না দেওয়ার অপরাধে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে গভীর রাতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পাথরঘাটা এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম এক নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে। ভুক্তভোগী শ্রমিক শেখর হাওলাদার বামনা উপজেলার রুহিতা গ্রামের সুনীল হাওলাদারের ছেলে। তিনি অথৈ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে পাথরঘাটা উপজেলার পশ্চিম হাড়িভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। এ ঘটনায় ঠিকাদারের পক্ষে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, পাথরঘাটা এলজিইডির তত্তাবধানে পশ্চিম হাড়িভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাছ চলছে। ভবনটির নির্মাণ কাজের দেখভালের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় পাথরঘাটা এলজিইডি’র একটি প্রজেক্টের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলামকে। তিনি দুই-তিনদিন পরপর সেখানে গিয়ে ঠিকাদারের নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজারের কাছ থেকে টাকা ও সিগারেট নিয়ে আসেন। ঘটনার দিন বুধবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে যান। সেখানে ঠিকাদারের ম্যানেজারকে এক প্যাকেট সিগারেট আনতে বলেন। তিনি প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে প্রকৌশলীর কথা রাখতে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে আনেন। এ সময় এক নির্মাণ শ্রমিকের অনুরোধে ম্যানেজার প্রকৌশলীর কাছে একটি সিগারে চান। এতে প্রকৌশলী ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে চলে যান তিনি। পরে ম্যানেজার ভুল বুঝতে পেরে ফোন করে তার কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু প্রকৌশলী তাতে খুশি না হয়ে ফোন করে ম্যানেজারকে গালাগাল করেন। এ সময় ম্যানেজার ফোনে তাদের গালি দেন। পরে রাত ১১টার দিকে রাকিবুল ইসলামসহ আরো ৯ জন মিলে তাকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী শেখর হাওলাদার বলেন, রাতে স্যার নিজে ৯ জন লোক নিয়ে আমাকে প্রচুর মেরেছেন। অভিযুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি তাকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হইছে। তাকে মেরেছে পাথরঘাটার ছাত্রলীগের ছেলেরা। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
Leave a Reply