শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কঁচা নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর জেগে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে টগড়া-চরখালী রুটের ফেরি চলাচল। এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা নদীতে আটকে থাকতে হয় গাড়ী ও যাত্রী বোঝাই ফেরি। টগড়া-চরখালী ফেরি রুট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা সহ দক্ষিণা লের ১২ টি রুটের যানবাহন চলাচল করে থাকে। ২ কিলোমিটার চওড়া এ নদী থেকে ফেরী পাড় হতে বছরের অন্যান্য সময় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগলেও, শীত মৌসুমে এ চিত্র পুরোটাই ভিন্ন।
এ সময় নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রায়ই ফেরি আটকা পড়ে ডুবো চড়ে। এ সমস্যা নদীর প্রায় অর্ধেকটা অংশ জুড়েই। আর এতে প্রতিদিন ঢাকা সহ দক্ষিণা লের ১২ টি রুটের যানবাহন নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরি আটকে থাকে নদীর মাঝেই।
যতক্ষণ নদীতে জোয়ার না আসে, ততক্ষণ এ অপেক্ষা চলতে থাকে। নদীতে ফেরি আটকে থাকায় মূল্যবান সময় নষ্ট সহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয় গাড়ির চালক ও যাত্রীদের। এছাড়া ভাটার সময় পন্টুন অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ী উঠতেও অনেক সমস্যা হয়।
নিয়মিত ফেরি ব্যবহারকারী আশরাফ জামান বলেন, শীতের সময় এ সমস্যার প্রবনতা অনেক বেড়ে যায়। প্রতিদিন চরের জন্য কম-বেশি ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে আমাদের চলাচলে চরম সমস্যায় পড়ি।
তাই এ রুটে ফেরির স্বাভাবিক চলাচলের জন্য নদীতে ড্রেজিং করা দরকার। তবে কঁচা নদীর নাব্যতা সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সড়ক বিভাগের এই কর্মকর্তা।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টির সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড জড়িত আমরা আমাদের উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি ।
আশা করছি খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। টগড়া-চরখালী ফেরি রুট ব্যবহারকারীদের দাবি কঁচা নদীর নাব্যতা সংকট দূর করতে সরকার অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
প্রতিদিন টগড়া-চরখালী ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ২শত যানবাহন পারা হয় এবং ৭-৮ হাজার মানুষ পারাপার করে।
Leave a Reply