শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
বিদেশে চাকুরির প্রলভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা যুবতীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিউলী বেগম নামের এক প্রবাসির স্ত্রীকে আটক করেছে নলছিটি থানা পুলিশ। সোমবার সকালে বরিশাল নগরীর রূপাতলী মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী সড়কের বাসিন্দা বিএডিসি’র স্টাফ স্বপন মিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে প্রবাসীর জ্যেষ্ঠ কন্যা সাহিদা আক্তার।
নিহত যুবতী হলো- নিপু আক্তার (২২)। সে নলছিটি উপজেলার সাটপাকিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন বহরমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ছত্তার মৃধার মেয়ে এবং ইছাপাশা গ্রামের সাজু তালুকদারের স্ত্রী ছিলেন। গত এক বছর ধরে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিলো না বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শিউলী বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়া প্রবাসী। সম্প্রতি নিপু আক্তারকে মালয়েশিয়ায় চাকুরীর প্রলভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায় শিউলী ও তার মেয়ে সাহিদা। এর পর থেকে তাদের সাথে মীরপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতো নিপু। হঠাৎ করেই রোববার রাতে ভাড়া বাসায় নিপু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রবাসীর স্ত্রী ও কন্যা প্রচার করে। এমনকি পুলিশকে খবর না দিয়ে রাতেই তারা এ্যাম্বুলেন্স যোগে লাশ নলছিটির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তাদের ভাস্যমতে নিপুর লাশ জানালার সাথে ফাঁস দেয়া এবং বসা অবস্থায় দেখতে পান। সে অবস্থা থেকে সাহিদা লাশ উদ্ধার করে বরিশালে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে রূপাতলী এলাকায় সে গাড়ি থেকে নেমে যায় এবং অল্প বয়সী এক কিশোরকে দিয়ে লাশ তার বাড়িতে পৌছে দেয়।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সাহিদার মা শিউলী বেগমকে আটক করা হয়। এই ঘটনার সাথে সাহিদার মায়ের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে জানিয়ে ওসি বলেন, সাহিদা লাশ নিয়ে বরিশালে আসে। এমনকি মা শিউলী বেগমের কথায় সে রূপাতলীতে গাড়ি থেকে নেমে যায়। সেই থেকেই সাহিদা আত্মগোপনে রয়েছে।
ওসি বলেন, মৃত নিপুর গলার ডান পাশে জখম রয়েছে। তাছাড়া জানালার পাশে বসে বসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। তাছাড়া এই ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Leave a Reply